টুকুন ঘুমোচ্ছে। ঋষি ঘড়ি দেখল দুটো বেজে গেছে। কঙ্কাবৌদির বাসায় যাওয়া সম্ভব নয়। গেলে অন্তত আধঘণ্টা বসতে হবে। টিউশনির দেরী হয়ে যাবে। কঙ্কা বৌদির ফ্লাট ছাড়িয়ে অনেকটা পথ হেটে যেতে হয়।
বাড়ী থেকে বেরিয়ে বলল, বড়দি দরজাটা বন্ধ করে দিও।
রাস্তায় নেমে মনে হল হিসি করে আসলে ভাল হত। ফিরে যাবে কিনা ভেবে পিছন ফিরে দেখল বড়দি দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। সামনে কোথাও ফাকা দেখে সেরে নেওয়া যাবে। কথাটা মনে না হলে কিছু হতনা মনে হয়েছে বলে লিঙ্গ শীর্ষে মৃদু বেদনা বোধ হয়। মাইনাস না করা পর্যন্ত অস্বস্তিটা যাচ্ছে না। এদিক-ওদিক দেখছে জুতসই জায়গা পেলেই দাঁড়িয়ে যাবে। দেখতে দেখতে কঙ্কাবোউদির ফ্লাটের কাছে চলে এসেছে। বৌদি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। ব্যালকনিতে লোকজন নেই। ঋষী এগিয়ে গেল।
কঙ্কাবতী ঘুমায়নি। ভাবছে ঋষী হয়তো আসতে পারে। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে। আচমকা উঠে বসল। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রাস্তার দিকে তাকায়। কোন লোকজন নেই পথে।
হঠাৎ নীচের দিকে চোখ যেতে চমকে ওঠে কঙ্কাবতী। ঋষি না? হাতে ধরা বিশাল ল্যাওড়া। সরে আসতে গিয়েও আবার মুখ বাড়িয়ে উকি দিল। কি সর্বনাশ! ঠিক দেখছে তো?ঋষি এদিক-ওদিক তাকিয়ে ল্যাওড়াটা ধরে ঝাকাতে থাকে। কঙ্কাবতীর গলার কাছে দম আটকে থাকে। ল্যাওড়া এত বড় হয়?ঋষি মুখ তুলে উপর দিকে তাকাতে দ্রুত সরে আসে কঙ্কা।
উফস যেন ঘসাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে গেল। জাঙ্গিয়াটা একটু ভিজে গেছে। পকেট থেকে রুমাল বের করে ঘাম মুছল।
কঙ্কাবতী ঘরে এসে বিছানায় বসল। বেশ কিছুক্ষন পর দেখল ঋষি এলনা। আবার ব্যালকনিতে গিয়ে এদিক-অদিক দেখল,ঋষিকে নজরে পড়ল না। তাহলে কি ঋষি আজ আসবে না?ফিরে এসে শুয়ে পড়ে। ঋষির ল্যাওড়াটা তখনো চোখের সামনে ভাসছে। চাকি বেলুনের বেলুনের মত লম্বা। অত বড় ল্যাওড়া নিয়ে ওর অস্বস্তি হয়না?নিজের মনে হাসল। ভারী বুক নিয়ে কি মেয়েদের অস্বস্তি হয়? কঙ্কা স্বস্তিতে শুতে পারেনা। মনে হচ্ছে বাথরুম পেয়েছে। খাট থেকে নেমে বাথরুমে গেল। নিজের যৌনাঙ্গটা দেখতে ইচ্ছে করছে। কমোডে বদলে ভাল দেখা যায়না। বন্দনাদির কথা মনে পড়ল। বিয়ে না করে দিব্যি আছে। অবাক লাগে কোনো কষ্ট হয় না?বন্দনাদি একদিন কি বলতে গিয়ে চেপে গেছিল। কে জানে কারো সঙ্গে গোপনে কোন সম্পর্ক আছে কিনা। কামদেবের বইতে এরকম কত গল্পই তো আছে। মনে পড়ল বন্দনাদির বইটা ফেরৎ দেওয়া হয়নি।
দূর থেকে দেখতে পায় শবরী বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। যেন দেখেনি এমনভাব করে ঋষি হাটতে থাকে। তিনতলায় উঠে দরজার পাশে কলিং বেল টেপার আগেই খুলে গেল দরজা।
সামনে শবরীকে দেখে গা ছমছম করে উঠল। ছোট জামা আর বারমুডা পরণে। স্তনের আংশিক উকি দিচ্ছে।
–মাসীমা নেই?
–থাকবে না কেন?ঘুমোচ্ছে। মুচকি হাসে শবরী।
ঋষি ভিতরে ঢুকে সোজা পড়ার ঘরে চলে গেল। টেবিলের পাশে চেয়ারে বসল। অন্য একটা টিউশনি পেলে এটা ছেড়ে দিত। কেমন ফিক ফিক করে হাসে,ভাল লাগে না। বেশি কথা বলে,আবোল তাবোল পড়ার সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন সব প্রশ্ন করে। প্রথমদিনই বলেছিল, আপনার যা বয়স আপনাকে স্যার বলতে পারব না।
–ঠিক আছে বোলোনা।
–যদি ঋষিদা বলি?
মিসেস মজুমদার আসতে কথা বন্ধ হয়ে যায়। মেয়েকে বুলেন,তুমি একটু ওঘরে যাও। ঋষি উঠে দাড়াতে উনি বসতে বলে জিজ্ঞেস করলেন,মনামী সব বলেছে তোমাকে?
–আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ পরিচয় নেই ওনার সঙ্গে। ওনার পরিচিত একজন পাঠিয়েছেন।
মনে হল মিসেস মজুমদার একটু হতাশ হলেন। ঋষিকে এক পলক দেখে জিজ্ঞেস করলেন,
তুমি কি করো?
–ইংলিশ অনার্স নিয়ে পড়ছি।
–টাকার কথা–।
–হ্যা বলেছেন।
–ঠিক আছে পড়াও। আমার মেয়েটা খুব ইন্টেলিজেণ্ট। ভেরি সফট টাইপ। জেনি এ ঘরে এসো। মিসেস মজুমাদারে সঙ্গে সেই প্রথমকথা তারপর আর কথা হয়নি।
শবরী আসছে না কেন?ঋষির মনে আছে শবরীর সেদিনের কথাটা। আপনাকে আমার পছন্দ হয়েছে। ঋষির বুক কেপে ওঠে। তারপর বলল,যাকে পছন্দ হয়না তার কাছ থেকে শিখতেও ইচ্ছে হয়না। শবরীকে ভাল লাগে,সত্যিই মেয়েটা বুদ্ধিমতী।
একটা ট্রেতে সরবৎ নিয়ে ঢুকল শবরী।
–এসব করতে গেলে কেন?
–ইচ্ছে হল। গরমে ভাল লাগবে।
চোখ তুলে একবার শবরীকে দেখে দৃষ্টি সরিয়ে নিল ঋষি।
শবরী সম্ভবত বুঝতে পারে। চেয়ারে বসতে বসতে বলল,যা গরম। মনে হয় খালি গা হয়ে থাকি।
সরবৎ চলকে যাচ্ছিল। কোনমতে নিজেকে সামলায় ঋষি।
সরবৎ শেষ করে শুরু হয় পড়ানো। গভীর নিমগ্নতায় শবরীর পোশাক আর তেমন বিব্রত করতে পারেনা।
দেওয়ালের ঘড়িতে টুং-টুং করে চারটে বাজল। ঋষী পড়ানো শেষ করে জিজ্ঞেস করে,কিছু জিজ্ঞেস করবে?
–বাংলার একটা শব্দের অর্থ জিজ্ঞেস করব?
–বাংলা?হ্যা বলো।
–পরভৃত মানে কি?
–পরভৃত মানে foster.কোকিল যেমন কাকের বাসায় ডিম পাড়ে। কাক না জেনে সেই ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটিয়ে দেয় সেজন্য কোকিলকে বলে পরভৃত।
–সারোগেট মাদারের চাইল্ডকে পরভৃত বলা যাবে?
ঋষি মুখে হাসি দেখে শবরী বলল,ভুল বললাম?
–তা নয়। পরভৃত শব্দটা প্রাচীন সেই তুলনায় সারোগেট মাদার একেবারে হাল আমলের।
আমি তোমার মত ভেবে দেখিনি।
–স্বামীর আশ্রয়ে স্ত্রীও কি পরভৃতা?
কি বলবে ঋষি?ব্যাপারটা এভাবে কখনো ভাবেনি। এসব নিয়ে শবরী এত ভাবছে কেন?
ঋষি যাবার জন্য উঠে দাড়ায় মুখে দ্বিধার ভাব। শবরী বলল,আপনি আমাকে খোলামেলা বলতে পারেন,আমি ম্যাচিওর।
দরজা অবধি পৌছে দিয়ে শবরী বলল,বললেন নাতো?
–কি বলব?ও,সবার পক্ষে সব জানা সম্ভব নয়। তুমি বাংলা দিদিমণিকে জিজ্ঞেস কোরো।
দরজা বন্ধ করে মুখ ভ্যাংচায় বাংলা দিদিমণি–ইডিয়ট।
পুরানো দোতলা বাড়ী বাইরে থেকে খুবই সাদামাটা। একতলায় বিভিন্ন দোকান,তারই একফাক দিয়ে দোতলায় ওঠার সিড়ি। সিড়ি বেয়ে উপরে উঠলে এক অন্য জগৎ। ধূপের গন্ধে ম-ম করছে। বিশাল হল ঘর। সাদা পাথরের মেঝে, সারি সারি গদীআটা চেয়ার। তিনদিকের দেওয়ালজোড়া দ্বাদশ রাশির ছবি। চারদিকে লাগানো গোপন ক্যামেরা এমন কি বাথরুমে পর্যন্ত। ডানদিকে প্যাসেজ দিয়ে কিছুটা গেলে জয়াবতী সরস্বতির ঘর। ফ্রেমে বাধানো দেওয়াল জোড়া কালিকা মূর্তি দেওয়ালে ঝুলছে। তার নীচে উচু বেদীতে তাকিয়া হেলান দিয়ে বসে জয়াজী। চমৎকার বাংলা বলেন চেহারায় অবাঙালী ছাপ, সামনে ল্যাপটপ। মাথার কাছে U-এর মত ঘেরা একটু জায়গায় মনিটর। চন্দ্রিমাজীর সামনের চেয়ারে বসলে সেখান থেকে মনিটরে কি ছবি আছে দেখা যায়না।
হলের বাইরে কাউণ্টার। সাক্ষাৎপ্রার্থিদের কাউণ্টার হতে টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকতে হবে। একজন সাক্ষাৎপ্রার্থির সঙ্গী হিসেবে একজনের বেশী ঢোকার অনুময়তি নেই। সাক্ষাৎপ্রার্থিদের অধিকাংশ মহিলা। ডাক পড়ার আগে পরস্পর নিজ নিজ সমস্যা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে। প্রত্যেকের মনেই ধন্দ্ব,যে জন্য এখানে আসা সেই কাজ কতদুর হবে?কেউ জানেনা সাক্ষাৎপ্রার্থিদের মধ্যে ছদ্ম পরিচয়ে মিশে রয়েছে জয়াজীর নিজস্ব লোকজন। তারা অত্যন্ত বিশ্বস্ত।
মৃদুস্বরে মাইকে ডাক পড়ে,বীনাপানি মুখার্জি। মধ্য বয়সী একজন মহিলা উঠে দাড়ালেন। একজন মহিলা এগিয়ে এসে তাকে সঙ্গে করে জয়াজীর ঘরে নিয়ে গেল। বীনাপানি নাম শুনেছিলেন আজ প্রথম দেখলেন। বয়স চল্লিশের নীচেই মনে হয়। কাধ পর্যন্ত ঝাকড়া চুল মাথায় গেরুয়া কাপড়ের ফেট্টি,একই রঙের সিল্কের লুঙ্গি পাঞ্জাবি পরণে ফর্সা বলা যায়। ঢুলুঢুলু চোখ,কপালে রক্ত চন্দনের তিলক। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পেট পর্যন্ত নেমে এসেছে।
–বোসো। মাতাজী বললেন।
বীনাপানির মনে হল ভরসা করা যায়। বসতে বসতে বলল,মাতাজী–।
জয়াজী হাত তুলে থামিয়ে দিয়ে বললেন,খুব কষ্টে আছো।
–হ্যা-হ্যা মাতাজী–।
–জানি দশ বছর বিয়ের পর একী ঝামেলা?
বীনাপানির চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। তিনি তো এসব কিছুই বলেন নি।
–নেশাই সর্বনাশ করেছে। মাতাজী বললেন।
বীনাপানির মুখে কথা সরেনা। একটু আগে মাতাজী সম্পর্কে তার মনে সংশয় ছিল মনে মনে লজ্জিত হন। বীনাদেবী আমতা আমতা করে বলল,বেশি খায় না।
–জনম তারিখ–?
–আজ্ঞে?
–ডেট অফ বার্থ বলো।
বীনাদেবে নিজের জন্ম তারিখ বললেন। জয়াজী ল্যাপটপে কিছুক্ষন বাটন টেপাটিপি করে বললেন,মিথুন রাশি। সাদির আগে একটা ছেলে–।
বীনাদেবীর মুখে লাল ছোপ পড়ে। একপলক সেদিকে তাকিয়ে জয়াজী জিজ্ঞেস করেন, কতদূর?
–আজ্ঞে?
–ভিতরে নিয়েছো?
বীনাদেবী দ্রুত প্রতিবাদ করে,না না–।
–সিরিফ চুমাচুমি?
মাথা নীচু করে লাজুক হাসেন বীনাদেবী।
–সাদি হলনা কেন?
–বাবা রাজী ছিল না।
–রাহু গোলমাল করছে। ল্যাপটপে বাটন টিপে বললেন জয়াজী।
–মাতাজী আপনি কিছু করুণ।
জয়াবতী হাত তুলে থামিয়ে দিলেন। তারপর কপালে আঙুল বোলাতে বোলাতে আপন মনে বলতে থাকেন,সেক্স বহুত আজিব চিজ। সেভ করো কেন?
–আজ্ঞে।
–তোমার ওখানে পরিস্কার। অল্প রাখবে পুরা উড়িয়ে দেবেনা।
বীনাপানির বিস্ময়ের সীমা থাকেনা,তিনি নিয়মিত সেভ করেন কিন্তু মাতাজী না দেখেই কিভাবে জানলেন?গুদের মুখে সুরসুর করে। কাতরভাবে জিজ্ঞেস করেন,মাতাজী ঐ মাগীর কবল থেকে বের করা যাবে না?
ল্যাপটপ থেকে মুখ তুলে জয়াবতী হাসলেন,হাসিতে আশ্বাস স্পর্শ। ঠোটে ঠোট চেপে কিছুক্ষণ ভেবে বললেন,তোমার ছেলে এসব জানে না?
–এখনো জানে না। পাছে জেনে যায় সেজন্য বেশি প্রতিবাদ করতে পারিনা।
–তোমার সঙ্গে সেক্স করে নিয়মিত?
–হ্যা রোজই করে কিন্তু আগের মত আদর করেনা।
–বেফিকর হয়ে বাড়ি চলে যাও। সেক্সে নতুনত্ব আনো। পরের সপ্তাহে একবার এসো।
–নতুনত্ব মানে?
–সেক্স টাইমটা বাড়াও। লঊণ্ডটা চুষে দাও,কিস কর–এসব শিখাবার নয়।
সামনে ছড়ানো পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বীনাপানি কাতর গলায় বললেন,মাতাজী দেখবেন।
রাস্তায় নেমে দেখল লোকচলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার সবাই তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরছে। শবরী অদ্ভুত প্রশ্ন করেছে। স্ত্রী কি স্বামীর পরভৃতা?বাপ-মায়ের সন্তান দিদির বাসায় পড়ে আছি। আমাকে কি পরভৃত বলা হবে?বড়দি বলছিল পাস করে তাড়াতাড়ি কিছু একটা কর। বড়দির মনটা খুব ভাল। কতদিন পর আদুরি পিসি এসেছিল,পিসিকে নিয়ে হাসপাতালে দেখিয়ে ট্রেনে তুলে দিয়েছে। এই দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারত।
–এই ঋষি তুমি শুনতে পাওনা?হাফাতে হাফাতে বলল সুস্মিতা।
–ও আপনি?মানে খেয়াল করিনি।
সুস্মিতা খিল খিল ওরে হেসে উঠল। ঋষি আশপাশ দেখে।
–আমাকে আপনি বলছ কেন?শুভকে কি আপনি বলো?
–ঠিকই মানে মেয়েদের আমি মানে–।
–কি মানে-মানে করছো?মেয়েদের তুমি ভয় পাও?
–না না ভয় পাবো কেন?আসলে যদি কিছু মনে করে মানে—।
–বি স্মার্ট ঋষি।
–আপনি মানে তোমার এত দেরী হল?আজ তো শনিবার।
–গ্যাজাচ্ছিলাম। আচ্ছা রকে বসে তোমরা কি গল্প করো?
ঋষি হাসল। সুস্মিতা জিজ্ঞেস করে,বলা যাবে না?
–রকে কোন নির্দিষ্ট বিষয় থাকেনা। সাহিত্য চলচ্চিত্র খেলাধুলা–যখন যেটা খুশি।
–মেয়েদের কথা?
–মেয়েদের কথাও বলে ওরা।
–তুমি বল না?
–কি বলব?আমি তো কাউকে চিনি না।
চুপচাপ কিছুটা হাটার পর সুস্মিতা বলল,তুমি মেয়েদের পছন্দ করো না?
–কে বলল শুভ?তুমি ওর কথা বিশ্বাস করলে?
— তুমি একটু সাবধানে থেকো। ওই লোকটা একটা গুণ্ডা।
–ও তোমায় বলিনি। বাবুলাল আজ সকালে আমার সঙ্গে দোস্তি করে গেছে।
–ওমা তাই?সুস্মিতা হেসে বলল,ব্যাটা আসলে তোমাকে ভয় পেয়ে গেছে।
চলতে চলতে একসময় দুজনে থামে। সুস্মিতা এবার ডানদিকে বাক নেবে। সুস্মিতা বলল, আসি আবার দেখা হবে।
ঋষি পিছন থেকে সুস্মিতার দিকে তাকিয়ে থাকে। ভগবান খুব মন দিয়ে মেয়েদের গড়েছে। সারা শরীরে এক চৌম্বকীয় আকর্ষণ। সেজন্যই ঋষির কেমন গা ছমছম করে।
এতক্ষনে হয়তো রকে সবাই এসে গেছে। ঋষির মনে পড়ল কঙ্কাবৌদির কথা। বাংলার শিক্ষিকা পরভৃত অর্থ নিশ্চয় বলতে পারবে। রাস্তায় মিহিরের সঙ্গে দেখা রকেই যাচ্ছিল।
মিহির বলল,কিরে আজ কলেজ যাসনি কেন?
–বাড়ীতে একটা কাজ ছিল।
–রবি সোম পরপর দু-দিন ছুটি। ‘
–সোমবার কিসের ছুটী?
–কার যেন জন্মদিন বলল,শালা ভুলে গেছি।
ওদের দেখেই বঙ্কা বলল,এইতো এসে গেছে,আশিস বল।
আড্ডায় কেমন নীরবতা পরস্পর সবাই মুখ চাওয়া চাওয়ি করে।
–কি বলবে?
–কাল সিনেমা যাব। পাঁচটাকা করে দিতে হবে।
–ও এই ব্যাপার?আমি ভাবলাম কিইনা কি। মিহির জায়গা করে বসল।
–আমার যাওয়া হবেনা। ঋষি বলল,মাসের শেষ। তাছাড়া টিউশনি আছে।
,
কঙ্কাবতী ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। দিব্যেন্দু ফেরেনি। শনিবার এত বেলা করেনা। ইদানীং প্রায়ই দেরী হয় ফিরতে। জিজ্ঞেস করলে মেজাজ করে,তাতেই সন্দেহ হয়। বছর পাঁচ বিয়ে হয়েছে এরমধ্যে সম্পর্ক এমন জায়গায় চলে যাবে ভাবেনি। সবাই তাকে বলে সুন্দরী,দিব্যেন্দু নিজেই তাকে একবার দেখেই উপযাচক হয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল।
রেনুদিকে যজ্ঞ করার কথা বলেছে। প্রায় হাজার দশেক টাকা লাগবে। তার ব্যাপার আলাদা। ঋষি অনেক বদলে গেছে। আগে বললেই আসত এখন এড়িয়ে যায়। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে কতরকম আজগুবি চিন্তা কঙ্কাবতীর মাথার মধ্যে গিজ গিজ করছে। হঠাৎ চোখদুটো জ্বলে উঠল,ঋষি আসছে না? হ্যা ঋষীই তো। কঙ্কা দ্রুত নীচে নেমে ফ্লাটের সামনে দাঁড়ায়।
বিয়ের দু-বছরের মাথায় ফ্লাট কিনে এ পাড়ায় এসেছে। তার জমানো টাকায় কেনা এই ফ্লাট। দিব্যেন্দুর ব্যাঙ্ক থেকে তার নামেই লোন নেওয়া হয়েছে। ফ্লাটও তার নামে না হলে লোন দিতনা। দিব্যেন্দুর বড় পরিবার। তার আগে বড় ননদের বিয়েতে দিব্যেন্দু লোন নিয়েছিল। বাবা মা আর আরও এক বোন আছে। ওরা আগের বাড়ীতেই আছে। শ্বশুর মশায় রিটায়ার করেছেন। সেই সংসারের দায়ও দিব্যেন্দুকে সামলাতে হয়। ঋষি তাকে দেখে ডাকার আগেই কাছে এসে জিজ্ঞেস করল,বৌদি তুমি এখানে? কারও অপেক্ষা করছো নাকি?
–তোর দিবুদা এখনো ফেরেনি।
ঋষি হাসল স্বামীর প্রতি টান ভালই লাগে বলল,দিবুদা কি ছেলেমানুষ নাকি? কোন কাজে আটকে গেছে হয়তো।
–ঠিক আছে তোকে আর পাকামি করতে হবেনা। বললাম একবার দেখা কর–।
–কাল সকালে আসব?
–না তোর দিবুদার সামনে বলা যাবেনা।
–তাহলে পরশু দুপুরে?
–তোর কলেজ নেই?
–কলেজ ছুটি।
–হ্যা তাইতো সোমবার ছুটি।
–দিবুদা বাড়ী যায়নি তো? ঋষি জিজ্ঞেস করল,খোজ নিয়েছিলে?
কথাটা তার মনে আসেনি। মনেরই বা দোষ কি? ঋষিকে বলল,সোমবার আসবি কিন্তু খুব জরুরী দরকার।
ঋষি চলে যাচ্ছিল কঙ্কা ডেকে বলল,কাউকে বলবি না।
কঙ্কা উপরে উঠে আসে। তার মনে একটু স্বস্তি,ঋষি ঠিকই বলেছে আজ শনিবার দিব্যেন্দু হয়তো বাড়ী গেছে। এখন আর বলে যাবার প্রয়োজন মনে করেনা। মাতাজীর ওখানে যাওয়ার অতটা তাড়া বোধ করেনা।
দরজা খুলল বড়দি। মনে হচ্ছে জামাইবাবু বাসায় ফিরেছে। মুখ হাত ধুয়ে দেখি টুকুন বই নিয়ে বসে আছে। নিয়মিত বই নিয়ে বসলেও একটানা পড়বে না। পড়তে পড়তে হাজার প্রশ্ন,মাথা মুণ্ডূনেই। ঋষি বিরক্ত হয়না,বড়দের প্রশ্নে অনেক বাক থাকে কিন্তু টুকুনদের জিজ্ঞাসা অতি সহজ সরল। ওর সঙ্গে বক বক করতে ক্লান্তি এবং আনন্দ দুই স্বাদ পাওয়া যায়। শবরী যখন প্রশ্ন করে তখন ভাবতে হয় এটাই কি প্রশ্ন নাকি প্রশ্নের আড়ালে ঘাপটি মেরে আছে অন্য প্রশ্ন?
বড়দি চা জল খাবার নিয়ে ঢুকল। রোজকার মত একই কথা,সেই কখন বেরিয়েছিস এতক্ষণে মনে পড়ল বাড়ীর কথা?
–মামু আমাদের সোমবার ছুটি।
–এই হয়েছে স্কুল,ইতু পুজো ঘেটূপুজো কোনোটাই বাদ নেই।
–বড়দি ছুটিটাও প্রয়োজন আছে। ছুটি হচ্ছে পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি।
–থাক। তোর পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন চলছে? অত রাতে নাপড়ে দিনের বেলা পড়তে পারিস না?
বড়দির কথায় উত্তর দিলাম না। সারাদিন আড্ডা দিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত আমার পড়ার অভ্যেস। রাত নিঝুম সবাই ঘুমোচ্ছে একা জেগে পড়ে চলেছি বেশ একটা থ্রিল আছে।
ঘড়িতে দশটা বাজতে চলেছে। কঙ্কাবতী দরজায় বেল বাজতে দিব্যেন্দু ভিতরে ঢুকল?
–এত রাত হল?
কঙ্কার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে দিব্যেন্দু চেঞ্জ করে তোয়ালে নিয়ে বাথরুমে ঢূকে গেল। কঙ্কাবতী চা করতে থাকে।
দিব্যেন্দু বাথরুম হতে বের হলে কঙ্কা চায়ের কাপ এগিয়ে দেয়। দিব্যেন্দু চায়ে চুমুক দিয়ে বলল,এত রাতে চা?
–ফিরতে দেরী হবে একবার বলে যেতে পারতে? হালকাভাবে কথাটা বলে চলে যাবার জন্য পা বাড়িয়েছে দিব্যেন্দু বলল,সব কাজ তোমার অনুমতি নিয়ে করতে হবে?
থমকে থামে কঙ্কা,ঘুরে দাঁড়িয়ে স্বামিকে একপলক দেখে বলল,তুমি এভাবে কথা বলছো কেন?
–কি ভাবে কথা বলব তোমার কাছে শিখব?
–মানে?
–তোমার জন্য আজ আমাকে বাড়ী ছাড়তে হয়েছে।
–ফ্লাট কেনার কথা আমি বলেছিলাম?
–তুমি বলোনি স্কুল অনেক দূর ভাবছি চাকরি ছেড়ে দেব–তুমি অস্বীকার করতে পারবে?
–তার সঙ্গে বাড়ী ছাড়ার কথা আসছে কেন?
–কোনো আশা তাদের পূরণ করতে পেরেছি? আজও মা আক্ষেপ করছিল।
–কে তোমায় পুরণ করতে বাধা দিয়েছে? কোনো গেয়োমুখ্যু হলে কথা ছিল।
–চায়ের কাপ হাতে দিয়ে লেকচার শুরু করল–ধুউস। দিব্যেন্দু চায়ের কাপ ছুড়ে ফেলে দিল।
–একি ভাঙ্গলে কাপটা?
–বেশ করেছি। আর একটা কথা বললে–। দিব্যেন্দু হাত উচু করে।
–কি মারবে? কঙ্কা রুখে দাঁড়ায়।
ধুত্তোর নিকুচি করেছে বলে আলনা থেকে একটা জামা টেনে নিয়ে দপ দপিয়ে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে গেল।
ঘটনার আকস্মিকতায় কঙ্কাবতী হতভম্ব। কিছুক্ষন পর রান্না ঘরে গিয়ে বাসনপত্র গুছিয়ে বিছানা না ঝেড়েই উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ল।
একটুতেই মেজাজ এমন তো ছিল না। একটু হলেই গায়ে হাত দিত। যা ভেবেছিল তাই।
বাচ্চা হয়নি তার জন্য সে দায়ী? ঋষীকে কিছু বলবে না,ও যদি ডিভোর্স নিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করতে চায় করুক। এইসব ভাবতে ভাবতে কঙ্কাবতী এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে।
শুয়ে শুয়ে ভাবছে ঋষি। তমালের কাছে শুনল আসল কথা। সিনেমা-টিনেমা কিছু নয়। বাবাকে নিয়ে কাল মামার বাড়ী যাবে মা,ভাইকেও নিয়ে যাবে। তমালকেও বলেছিল,রাজি হয়নি। বাড়ী একেবারে ফাকা। একটা থ্রী এক্স সিডী জোগাড় করেছে সবাই মিলে দেখবে।
ঐসব ছবির কথা শুনেছে কিন্তু কোনোদিন দেখা হয়নি। কিসব বিচ্ছিরি বিচ্ছিরি ছবি সব। টিউশনি কামাই করা সম্ভব নয়।
হাটতে হাটতে একেবারে বিধান পার্ক পর্যন্ত চলে আসে দিব্যেন্দু। কেউ নেই পার্কে,এত রাতে থাকার কথাও নয়। ঘাসের উপর বসল দিব্যেন্দু। আজকের কথা রীণা শুনলে খুশি হবে। রীণা চাকরি করেনা। ওর স্বামী বিকার গ্রস্ত,বন্ধুদের দিয়ে বউকে চোদাতে চেয়েছিল এই নিয়ে গোলমাল। অবস্থা খুব খারাপ নয় কোন কর্পোরেট সংস্থায় চাকরি করে। খোরপোশের দিব্যেন্দুর ব্যাঙ্কে জমা পড়ে। ব্যাঙ্কেই আলাপ,সন্তান দিতে পারবে নিশ্চয়তা দিয়েছে। কি করে এত নিশ্চিত হল জিজ্ঞেস করেছিল। বিয়ের কিছুদিন পরই পেটে সন্তান এসে যায় সুজন মানে ওর স্বামী এ্যাবর্শন করিয়ে নষ্ট করে ফেলে। সেদিন খারাপ লাগলেও রীণা বলে ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্য। কঙ্কাকে দেখেছে রীণা। একদিন বলছিল তোমার বউয়ের গাঁড়টা দেখেছো? মেয়েদের বিশাল গাঁড় বিচ্ছিরি লাগে। মাউড়া মাগীদের মত হাওয়ায় গুতো মারতে মারতে চলে। দিব্যেন্দু হেসে ফেলে। নিঃসঙ্কোচে এমন এমন শব্দ উচ্চারণ করে রীণার মত কঙ্কা পারবে না। রীণা অনেক মডার্ণ। রীণা চাকরির সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু রীণার বাবা মেয়েদের চাকরি পছন্দ করেন না বলেই রীণা সেই চাকরি নেয়নি। এসব রীণার কাছ থেকেই শোনা। আজ অতটা ক্ষেপে যাওয়া উচিত হয়নি। রীণা যত যাই বলুক কঙ্কা অনেক সুন্দরী। নিজের মনে পাপ ছিল বলেই হয়তো অমন রেগে গেছিল। উঠে দাঁড়িয়ে পাছা থাবড়ে ধুলো ঝাড়ে দিব্যেন্দু।
–কি দাদা এত রাতে?
দিব্যেন্দু তাকিয়ে দেখল অন্ধকারে দাঁড়িয়ে কয়েকটা ছেলে। ভাল করে দেখে বুঝতে পারে। বাবুলাল আর তার দলবল। শুনেছে কদিন আগে পাড়ার ঋষি ওকে মেরেছিল। তা হলেও এসব ছেলেদের বিশ্বাস নেই। দিব্যেন্দু পার্কের গেটের দিকে এগিয়ে গেল। কানে এল কে একজন খ্যাক-খ্যাক করে হেসে বলল,বউদির সঙ্গে গোসসা হয়েছে।
কথাটা শুনে ফিক করে হেসে ফেলে দিব্যেন্দু। দ্রুত বাসার দিকে পা চালায়। কঙ্কা কি শুয়ে পড়েছে? সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে দেখল,দরজা খোলা! বন্ধ না করেই শুয়ে পড়েছে কঙ্কা? নাকি জেগে বসে আছে? ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে। শোবার ঘরে আলো জ্বলছে,তাহলে এখনো তার জন্য জেগে বসে আছে?
শোবার ঘরে ঢুকে দেখল উপুড় হয়ে শুয়ে আছে কঙ্কা। নাইটি উঠে গেছে পাছার কাছাকাছি।
সডৌল উত্তাল পাছা দেখে মনে পড়ল রীণার কথা। আস্তে পাছার উপর হাত রেখে ডাকল,কঙ্কা ঘুমিয়েছো?
কঙ্কা বুঝতে পারে দিব্যেন্দুর উপস্থিতি কিন্তু সাড়া দেয় না। দিব্যেন্দু পাছা মুঠো করে চাপ দেয়্। ময়দার মত নরম। কঙ্কার ভাল লাগে। দিব্যেন্দু নীচু হয়ে বলল,কঙ্কা আয় এ্যাম স্যরি।
পালটি খেয়ে বলল,থাক এত রাতে আর ঢং করতে হবে না।
দিব্যেন্দু লোলুপ দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে কঙ্কার শরীরের দিকে। কঙ্কা বলল,কি হল করবে? তাহলে তাড়াতাড়ি করো। নাইটী তুলে দু-পা মেলে দিল কঙ্কা। বিব্যেন্দু দ্রুত পায়জামা খুলে ফেলে।
উরু সন্ধি হতে ইঞ্চি পাচেক লম্বা পুরুষাঙ্গ ঝুলছে। ঋষির কথা মনে পড়ল প্রায় দ্বিগুন লম্বা হবে। দিব্যেন্দু হাত দিয়ে ল্যাওড়াটা নাড়তে থাকে শক্ত করার জন্য। কঙ্কা ভাবে দিব্যেন্দুর সম্পর্কে যা শুনেছে তা কি সত্যি? ল্যাওড়াটা চেরার মুখে এনে হাত দিয়ে মুণ্ডিটা ভিতরে ঠেলে দিয়ে কঙ্কার হাটূ দুটো চেপে ঠাপ শুরু করল। উজ্জ্বল আলোয় দেখছে দিব্যেন্দু কেমন হাপিয়ে উঠেছে। কঙ্কা হাত এগিয়ে দিব্যেন্দুর চুলে বুলিয়ে দেয়। মিন্ট পাচ-ছয় পর দিব্যেন্দু গোঙ্গাতে গোঙ্গাতে স্থির হয়ে গেল। কঙ্কা বুঝতে পারে বেরিয়ে গেছে। বেচারী অল্পেতে হাপিয়ে যায় আরেকটু করলে তারও বেরতো। দিব্যেন্দুকে বলল,ওঠো। ফ্রেশ হয়ে খেতে এসো।
কঙ্কা উঠে বাথরুমে গেল। দিব্যেন্দু দেখল ঘড়িতে একটা বাজে।
0 Comments