মনীষার ঘুম ভেঙ্গে গেল মাঝরাতে। উঠে বসে স্বামীকে দেখল হুশ নেই। দুই উরুর ফাকে নেতিয়ে পড়ে আছে সুনীলের ঐটা। পাশে ঘুমন্ত মেয়েকে একবার দেখে লুঙ্গি টেনে নামিয়ে দিলেন। বিছানা থেকে নীচে নেমে বাথ্রুমে গেলেন। বাথরুম সেরে ফেরার সময় দেখলেন, বৈঠকখানায় লাইট জ্বলছে।
ঋষি সোফায় বসে পড়ছে, নিপাট বিছানা। দরজায় বড়দিকে দেখে অপরাধী মুখে হাসে। মনীষা বললেন, কটা বাজে দেখেছিস?অসুস্থ হয়ে পড়লে পরীক্ষা দিবি কি করে?এখন শুয়ে পড়। মনীষা চলে গেলেন নিজের ঘরে।
বই খাতা গুছিয়ে লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়ল ঋষি। কাল ছুটি মনে মনে হিসেব করে সারাদিন কি করবে?এইকদিন টুকুনকে পড়াতে না হলে ভাল হতো। কিন্তু সেকথা বলা যাবে না। খাওয়া দাওয়া সেরে একবার চট করে কঙ্কাবৌদির সঙ্গে দেখা করে আসবে। পরিস্কার বলে দেবে পরীক্ষার আগে কোথাও নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এইসব আবোল তাবোল ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পড়ে বুঝতেই পারেনা।
কঙ্কাবতী বুঝতে পারেনা দিব্যেন্দুর সঙ্গে সম্পর্ক কিভাবে চালিয়ে যাবে?ওর পাশে শুতেও ঘেন্না করছে। কাল সকালে যদি ক্ষমা চায় কি করবে?এর আগেও কয়েকবার বলেছে ভুল হয়ে গেছে স্যরি। এক জায়গায় তো থামতে হবে। কঙ্কাবতীর নিশ্চিত দিব্যেন্দু কাকিনাড়া যায়নি। কিন্তু কোথায় যেতে পারে?আন্দাজ করতে পারেনা।
রীণাকে নিয়ে বাবুলাল শান্তি ভট্টাচার্যের বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করতে শান্তিবাবু বিরক্ত হয়ে এক ধমক দিলেন বাবুলালকে। এখানে নিয়ে এসেছিস কেন?
রীণা এগিয়ে আসতে শান্তিবাবু বললেন, তোমাকে বলিনি বাড়ীতে আসবে না?
বাবুলাল বুঝতে পারেনা তার কি ভুল হয়েছে?বাবুলালের কাছে এসে শান্তিবাবু ফিসফিস করে বললেন, ও যেখানে যেতে চায় একটু পৌছে দে। , সকালে দেখা করিস।
শান্তিবাবু ভিতরে চলে যেতে বাবুলাল বলল, কোথায় যাবেন আপনি?যত শালা ছেড়া ঝামেলা।
–আমাকে পুর্ব সিথি পৌছে দেবেন?রীণা কাতর গলায় বলল।
বাবুলালের ইঙ্গিতে বাইকের পিছনে চেপে বসে বিড়বিড় করে বলল, শালা কিভাবে তোমায় সাইজ করি দেখো।
–কিছু বললে?
–না আপনাকে না।
রাতের নিস্তব্ধতা খানখান করে ভটভটিয়ে বাইক ছুটে চলল। রীণা জড়িয়ে ধরে বাবুলালকে। কাধ ঝাকি দিয়ে বাবুলাল বলল, সোজা হয়ে বসুন।
ঘুম ভেঙ্গে গেল, সকালের নরম রোদ জানলা দিয়ে কঙ্কার মুখে এসে পড়েছে। চোখ মেলে বুঝতে পারে সোফায় শায়িত। মনে পড়ল কাল রাতের কথা। উঠে বসে কয়েক্মুহূর্ত কি ভাবল তারপর বাথরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে শোবার ঘরে উকি দিয়ে দেখল দিব্যেন্দু চোখ বুজে পড়ে আছে। রান্না ঘরে গিয়ে চায়ের জল চাপায়।
ঘুম ভাঙ্গলেও দিব্যেন্দু শুয়ে শুয়ে কাল রাতের কথা ভাবে। মনে হচ্ছে রীণা তাকে সব কথা বলেনি। দোষ শুধু ওর স্বামীর মনে হয়না রীণারও নিশ্চয়ই কিছু দোষ ছিল। বালিশের পাশে মোবাইলটা নজরে পড়ে। কললিস্ট ঘেটে দেখে বেশ কয়েকবার ফোন করেছিল রীণা।
কঙ্কাও একবার ফোন করেছিল। একটা আননোন নম্বর দেখে মনে করার চেষ্টা করে এটা কার নম্বর? কাল তাহলে আর কে ফোন করেছিল? রীণার কি দুটো মোবাইল?খুব বাচা বেচে গেছে কাল। শেষে কি হল রীণার সঙ্গে দেখা হলে জানা যাবে। রীণার কথা মনে হতে অস্বস্তি বোধ করে। নিশ্চয়ই খুব গালমন্দ করবে। যাহোক কিছু বানিয়ে বলা যাবে।
টুকুনকে নিয়ে পড়াতে বসেছে ঋষী। টুকুন একটানা পড়তে পারে না, খালি প্রশ্ন। ঋষি তাগাদা দিল কি হল থামলে কেন?
–মামু বাপি ভাল না।
–ছিঃ ওকী কথা?বাপি গুরুজন। ঋষী বকা দিল।
–মামণি গুরুজন না?টুকুন পালটা প্রশ্ন করল।
–সবাই গুরুজন।
–তাহলে মামণিকে বকে কেন?
কি উত্তর দেবে ঋষি বুঝতে পারেনা। জামাইবাবু কি বড়দিকে কিছু বলেছে?
মনীষা চা নিয়ে ঢূকলেন। চায়ের কাপ নামিয়ে রেখে টুকুনকে বললেন, মামণি তোমার মামুর পরীক্ষা। এ-কদিন তুমি আমার কাছে পড়বে।
ঋষি আপত্তি করল, তাতে কি হয়েছে আমার অসুবিধে হবে না।
–তুই বেশি কথা বলবি না। মনীষা ধমক দিলেন।
–ঠিক হয়েছে ঠিক হয়েছে। টুকুন হেসে হাততালি দিল।
টুকুনকে নিয়ে মনীষা চলে গেলেন। ঋষি মনে মনে ভাবে ভালই হল। পরমুহূর্তে মনে হল চাপ বেড়ে গেল রেজাল্ট খারাপ হলে কোণো অজুহাত চলবে না। অনার্সটা পেরিয়ে গেলে অন্য সাব্জেক্টগুলোর জন্য চিন্তা নেই। বড়দি নিজের পায়ে দাড়াবার কথা বলছে অর্থাৎ চাকরি করার কথা। ঋষির ইচ্ছে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার কিন্তু কে তাকে পড়াবে? কঙ্কাবৌদি বলেছে অসুবিধে হলে বলবি। বলেছে এই যথেষ্ট, বৌদি কেন টাকা দেবে?দিবুদাই বা রাজি হবে কেন?
ওহো আজ সোমবার কঙ্কাবৌদির সঙ্গে দেখা করার কথা। কোথাও যেতে বললে সাফ বলে দেবে পরীক্ষার আগে সম্ভব নয়। পরীক্ষার পর যা বলবে রাজি আছে।
বেলা বাড়তে থাকে। কাগজে চোখ বুলিয়ে দিব্যেন্দু স্নানে গেল। রান্না শেষ হয়ে এসেছে। কঙ্কাবতী কেমন উদাসীন। বাবার কথা মনে পড়ল। ঘণ্টাখানেকের পথ ইচ্ছে তো হয় যেতে কিন্তু গেলেই নানা প্রশ্ন কেমন আছিস ও কেমন আছে?কি বলবে ভাল আছে, সুখে আছে?দিব্যেন্দু বাথরুম হতে বেরিয়েছে।
কঙ্কা ভাত বেড়ে টেবিলের উপর রেখে এল। দিব্যেন্দু রেডি হয়ে টেবিলে গিয়ে বসল। ব্যাঙ্কে যাক না যাক বেরোতে হবে। না হলে এখানে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে কেন যাবেনা? মুখ বুজে খাওয়া শেষ করে। বেরোবার আগে উদ্দেশ্যহীন ভাবে বলল, আমি বেরোচ্ছি।
দিব্যেন্দু বেরিয়ে যেতে কঙ্কাবতী দরজা বন্ধ করে দিল। যতক্ষন ঘরে ছিল অস্বস্তি বোধ করছিল। এবার খেয়ে দেয়ে বিশ্রাম। বাথরুমে ঢুকে সাবান ঘষে স্নান করে। সারা শরীরে কেমন এক গ্লানি জড়িয়ে আছে যেন। কাল স্কুল আছে বন্দনাদির সঙ্গে দেখা হবে। অনেক কথা জমে আছে কাউকে বলতে পারলে কিছুটা হালকা হওয়া যেতো। স্নান সেরে ভাত নিয়ে বসল।
যত ভাবছে এসব নিয়ে ভাববে না, ঘুরে ফিরে ঐ চিন্তাটা আসছে। অন্যদিন বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ে আজ আর বই নয় ঘুমাবে। গাঢ় ঘুম হলে কিছু মনে পড়বে না।
জামাইবাবু বেরিয়ে গেছে টুকুন ঘুমোচ্ছে ঋষি খেয়ে দেয়ে বই নিয়ে বসছে। বড়দি শোবার উদ্যোগ করছে। ঋষির ঘরে উকি দিল। বড়দি বলল, সারাক্ষন বই নিয়ে থাকলে হবে একটু পায়চারি করে আয়, মনটা সতেজ হবে। কথাটা খারাপ লাগেনা পায়জামার উপর একটা জামা গলিয়ে বেরিয়ে পড়ল।
রাস্তায় এসে খেয়াল হয়, এমা কঙ্কাবৌদি দেখা করতে বলেছিল। এখন যাওয়া কি ঠিক হবে?ভাবতে ভাবতে কঙ্কাবৌদির বাড়ীর কাছে এসে উপর দিকে তাকাল। ব্যালকনিতে কেউ নেই, একটা কাপড় মেলে দিয়েছে।
সবে চোখ বুজেছে অমনি কলিং বেল বেজে উঠল। কঙ্কাবতী চোখ মেলে তাকায়। উরুর উপর উঠে যাওয়া নাইটি টেনে নামিয়ে খাট থেকে নামল। দরজার কাছে গিয়ে বলল, কে?
কোনো সাড়া নেই। একবার ভাবল দরজা খুলবে কিনা?দরজা খুলে দেখল কেউ নেই। সিড়ি দিয়ে কে যেন নেমে যাচ্ছে। কঙ্কাবতী এগিয়ে গিয়ে ডাকল, কে-এ?
ছেলেটি উপর দিকে তাকাতে চিনতে পারে। কঙ্কাবতী বলল, কিরে চলে যাচ্ছিস?
ঋষি উপরে উঠে বলল, ভাবলাম তুমি ঘুমোচ্ছো।
–আয় ভিতরে আয়। এতক্ষণে সময় হল?
শোবার ঘরে নিয়ে গিয়ে খাটে বসতে বলে কঙ্কাবতী চলে গেল। ঋষি এসেছে ভালই হল। ওর সঙ্গে কথা বলতে ভাল লাগে। ফ্রিজ খুলে কোল্ড ড্রিঙ্কস বের করে দুটো গেলাসে ঢালল।
রোদের মধ্যে এসেছে ভাল লাগবে। ঋষির হাতে একটা গেলাস দিয়ে কঙ্কাবতী খাটে হেলান দিয়ে বসল।
–তুমি ঘুমোচ্ছিলে?
–সে তোকে ভাবতে হবেনা। তোর যখন ইচ্ছে হবে আসবি। আমি না ডাকলে তুই চলেই যেতিস?তুই কিইরে?আবার গুণ্ডাদের সঙ্গে মারামারি করিস?
বৌদি কার কথা বলছে?অবাক হয়ে বলল, আমি মারামারি করেছি?
–বাবুলাল না কে তার সঙ্গে মারামারি করিস নি?কেন ওদের সঙ্গে লাগতে যাস?
–সুমিকে ধাক্কা দিয়েছিল ছাড়িয়ে দিয়েছি। মারামারি করিনি।
–সুমি?তার সঙ্গে তোর কি সম্পর্ক?
–শুভর গার্ল ফ্রেণ্ড।
কঙ্কা মুখ টিপে হাসে। এইজন্য ছেলেটাকে ভাল লাগে। কেমন সহজ ভাবে বলল, গার্ল ফ্রেণ্ড।
–তোর বন্ধুদের সবার গার্লফ্রেণ্ড আছে তাই না?
ঋষি মাথা নীচু করে লাজুক হাসে। কঙ্কাবতীর মজা লাগে। মনে পড়ল ওর বিশাল ঐটার কথা।
কঙ্কাবতী জিজ্ঞেস করে, তোর কোনো গার্লফ্রেণ্ড নেই?
–আমি কোথায় পাবো?
–ওরা যেভাবে পেয়েছে। এত সুন্দর চেহারা তোর।
লাজুক গলায় ঋষি বলল, জানো বৌদি মেয়েদের সঙ্গে ঠিকমত কথা বলতে পারিনা।
–কেন মেয়েরা আলাদা কি?
ঋষি নখ খুটতে থাকে। কি বলবে ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারেনা। কঙ্কাবতী বলল, মেয়্যেরা তোকে আকর্ষণ করেনা, নাকি তুই মেয়েদের পছন্দ করিস না?
–না না তা নয়–মানে–মেয়েদের মধ্যে একটা চৌম্বক শক্তি আছে।
কঙ্কাবতীর নতুন লাগে কথাটা। মেয়েদের নিয়ে ওর নিজস্ব ভাবনা আছে। কঙ্কাবতী বলল, আমার দিকে তাকা, ভাল করে দ্যাখ-।
ঋষী সরাসরি তাকালো, কি সুন্দর ফিগার বৌদির। উন্নত বক্ষ ঢাল খেয়ে ক্রমশ সরু হয়ে এসেছে। কোমর থেকে বাক নিয়ে সৃষ্টি করেছে রহস্য। কঙ্কাবতী জিজ্ঞেস করল, আমার কোথায় চৌম্বক শক্তি?
–ধুস তুমি আমার কথা বুঝতে পারোনি। আমি বলেছি একটা চৌম্বকীয় আকর্ষণ–।
–তা হলে তোকে কেউ টানলো না কেন?
চট করে মনে পড়ে গেল শব্দটা। ভেবেছিল বৌদিকে জিজ্ঞেস করবে। ঋষি বলল, আমি পরভৃত, আমার ভয় হয়। আচ্ছা বৌদি পরভৃত মানে কি?
কঙ্কাবতী খিলখিল করে হেসে উঠল। ঋষির বুক কাপে। বৌদি হাসলে মনে হয় সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। কঙ্কাবতী হাসি থামিয়ে বলল, তুই বললি আবার তুই মানে জিজ্ঞেস করছিস?
–আসলে একজন জিজ্ঞেস করছিল, বিয়ের পর মেয়েরা পরভৃতা কি না?
–কে জিজ্ঞেস করছিল?
–আমার এক ছাত্রী শবরী।
কঙ্কাবতী জানে কোকিলকে বলে পরভৃত। কাকের বাসায় কোকিলের বাচ্চা পালিত হয়। উড়তে শিখে পালিয়ে পালিতা মাকে ফেলে। কিন্তু সেতো পরভৃতা নয়। এই ফ্লাট তার নিজের নিজের উপার্জনে খায়। দিব্যেন্দু তার মাইনের বেশিটাই কাকিনাড়া পাঠিয়ে দেয়। ঋষী বৌদিকে চিন্তিত দেখে জিজ্ঞেস করল, বৌদি তোমার মন খারাপ?
কঙ্কাবতী চোখ তুলে গভীরভাবে ঋষিকে দেখল। মৃদু হেসে বলল, আমাকে তোর গার্লফ্রেণ্ড করবি?
ঋষি লজ্জা পেয়ে বলল, ধ্যাৎ।
–আমাকে তোর পছন্দ নয়?
–তোমাকে আমার দারুণ লাগে। কিন্তু তুমি বিবাহিত মানে একজনের বউ।
–বউ হলে কি বন্ধু হতে পারিনা?কঙ্কাবতীর গলায় আকুতি।
ঋষির খুব মায়া হয় বলল, ঠিক আছে তুমি আমার গার্লফ্রেণ্ড, হলতো?
কঙ্কাবতীর সব এলোমেলো হয়ে যায় বলে, সবার মত আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবি তো?
ঋষির মনে পড়ল বৌদিকে সাফ জানিয়ে দেবার কথা। এই সুযোগে বলল, শোনো পরীক্ষার পর তুমি যা বলবে করব কিন্তু পরীক্ষার আগে কোথাও নিইয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
–আমি তোর গার্লফ্রেণ্ড তোর ক্ষতি হোক তেমন বলব কেন?আচ্ছা তোর বন্ধুরা গার্লফ্রেণ্ডদের সঙ্গে কি কথা বলে?
–বারে আমি কি করে বলবো?
–ওরা এসে বলেনা?
ঋষি ফিক করে হাসল। সেসব কথা বৌদিকে বলা যাবেনা। কঙ্কাবতীর নজর এড়ায় না বলল, এই শোন গার্লফ্রেণ্ডদের কাছে সব কথা খুলে বলতে হয়। একটু বোস চা করে আনি।
কঙ্কাবতী চা করতে গেল। বৌদি যদি বিবাহিত না হত তাহলে দারুণ গার্লফ্রেণ্ড হত। সবাই কি গার্লফ্রেণ্ডকে বিয়ে করে?
–দেখ ত কেমন হয়েছে?তাড়াতাড়ি করে আনলাম।
–তাড়াতাড়ির কি আছে?আমি তো বসে আছি।
–বয়ফ্রেণ্ডদের বেশিক্ষন বসিয়ে রাখা যায়?
ঋষির শরীরের মধ্যে রক্তে ঢেউ খেলে যায়। বৌদি মজা করছে বুঝলেও এসব কথা শুনলে কেমন লাগে।
চা শেষ করে উঠে পড়ল। কঙ্কাবতী দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেয়। ঋষি ঘুরে দাঁড়িয়ে আসি বলতে যাবে আচমকা দু-হাতে জড়িয়ে ধরল কঙ্কাবতী। সজোরে বুকে চেপে ধরে। নারী দেহের স্পর্শে ঋষি মাতালের মত ঢলে পড়ে। কঙ্কাবতী জিজ্ঞেস করল, চৌম্বক শক্তির আকর্ষন বুঝতে পারছিস?
ঋষি কথা বলতে পারেনা সারা শরিরে জড়িয়ে সুখ স্পর্শ। কঙ্কাবতী বলল, তোর ভাল লাগেনি?
–হু-উ-উম।
যেন কি মনে পড়ে গেল কঙ্কাবতী বলল, দাড়া এক মিনিট। কঙ্কাবতী ভিতরে চলে গেল। ঋষির মনে হচ্ছিল সারা জীবন যদি এভাবে জড়িয়ে ধরে রাখতো, কোনো আপত্তি করত না।
একটা মোবাইল এগিয়ে দিয়ে বলল, এটা রাখ। রিচার্জ করে নিবি।
–বড়দি যদি দেখে?
–লুকিয়ে রাখবি। আমি মিস কল দিলে তুই নিরাপদ জায়গায় চলে যাবি। তারপর কল করব।
–আমি একবার তোমাকে জড়িয়ে ধরব?
–ধর জিজ্ঞেস করার কি আছে?কঙ্কাবতী দুহাত তুলে দাড়াল।
ঋষি বগলের তলা দিয়ে হাত ঢূকিয়ে বুকে মাথা গুজে জড়িয়ে ধরল। কঙ্কাবতীর বুক ভিজে যায়। মাথা তুলে জিজ্ঞেস করল, কাদছিস কেন?
ঋষি হেসে বলল, চোখে জল এসে গেল, কাদছি না।সিড়ি দিয়ে টলতে টলতে নামতে থাকে ঋষি। রক্তে এখনো অনুভব করছে অনাস্বাদিত এক মাদকতা। কঙ্কার শরীর থেকে তার শরীরে সংক্রমিত হয়েছে বুঝি। কঙ্কাবতী আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে চোখে মুখে এক ঔজ্জ্বল্য ফুটে উঠেছে। আগে তো এমন হয়নি। নাইটির বোতাম খুলে অনাবৃত করল বুক। ঘাড় হেলিয়ে দেখল স্তন গড়িয়ে পড়ছে জল। আঙুল বোলায় জিভে স্পর্শ করতে লোনা স্বাদ পায়। মনে মনে ভাবল পাগল ছেলে একটা। সারাদিনের বিষন্নতা মুছিয়ে দিয়েছে ঋষির স্পর্শ।
ঋষি রাস্তায় নেমে ব্যালকনির দিকে তাকাল,তারপর দূর নিঃসীম উদার আকাশের দিকে।
রকের দিকে যেতে ইচ্ছে হয়না,বাসার দিকে চলতে থাকে। মোবাইলের শব্দে খেয়াল হয় তার পকেটে মোবাইল আছে। বের করে বলল,হ্যালো?
–গার্লফ্রেণ্ড। ঋষি হাসল।
–ফোন করলে?
–মন দিয়ে পড়াশুনা করো।
–আচ্ছা। ফোন কেটে গেল। ঋষি ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষন। পড়াশোনা করিস না “করো”? কথাটা কানে বাজে। তারপর আবার হাটতে থাকে।
কঙ্কা ফোন কেটে দিয়ে নামটা ফ্রেণ্ড লিখে সেভ করে রাখল। কাল রাত থেকে মনটা খারাপ হয়ে ছিল,দিব্যেন্দু যখন মাতাল হয়ে ফিরল জল এসে গেছল চোখে। ঋষীকে জড়িয়ে ধরে যেন এক রাসায়নিক পরিবর্তন হয়ে গেল। বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে সিলিংএর দিকে তাকাল। বনবন করে ঘুরছে পাখা।
সারাদিন টেনশনে কেটেছে ভাল করে মন দিতে পারছিল না কাজে। চোখ চলে যাচ্ছিল গেটের দিকে,এই বুঝি রীণা ঢূকল। গ্রাহকের ভীড় নেই। খাতা পত্তর বন্ধ করে মোবাইল বের করে কল লিস্ট দেখতে দেখতে ভাবে কাল রাতের পর রীণা আর ফোন করেনি। কোনো বিপদে পড়েনি তো?আননোন নম্বরটা কৌতুহলী করে। কার নম্বর?
ঋষি হেটে চলেছে,আজ ভাল লাগছে হাটতে সামনে তাকিয়ে দেখল বাইকে হেলান দিয়ে চা খাচ্ছে বাবুলাল। সঙ্গের ছেলেটাকেও চেনে ওর নাম ভজা। পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাবে ভেবে মাটির দিকে তাকিয়ে হাটতে থাকে। কাছাকাছি হতে কানে এল,কি বস একটু আশপাশ দেখো।
ঋষি একটু চমকে তাকিয়ে বাবুলালকে দেখে হেসে বলল,ও তুমি?ভালো আছো?
–আর ভালো। একটার পর একটা ঝামেলা। এই ভজা বসের জন্য চা বল।
ভজা সঙ্গে সঙ্গে বলল,এই আরেকটা চা।
–বস আর কিছু নেবে বিস্কুট কেক?
–না না বাসায় ফিরে টিফিন করতে হবে। ঋষি আপত্তি করে। ঝামেলা কি বলছিলে?
ভজা বলল,কাল লেবু বাগানে–।
–তুই থামবি?বেশি ফরফড় করিস।
একটি বাচ্চা চায়ের গেলাস ধরিয়ে দিয়ে গেল। ঋষির মনে লেবুবাগানে কিছু হয়েছে। জিজ্ঞেস করল,লেবু বাগানে কেন গেছিলে?
–ছাড়ো তো ওর কথা। আমরা হলাম এণ্টিসোসাল–।
বাবুলালের কথায় খারাপ লাগে ঋষি বলল, আমি কি তোমাদের এ্যাণ্টিসোশাল ভাবি?
–তুমি আলাদা। সেইজন্য তোমায় ভালবাসি–।
দিব্যেন্দু ভাবতে ভাবতে সুইচ টিপে দিল। কেউ ধরছে না ফোন কেটে দেবে ভাবছে। বাবুলাল বলল,বস তোমার ফোন বাজছে।
ঋষি ফোন বের করে বলল,হ্যালো?
বাবুলাল বলল,বস তোমার ফোন আছে?
ঋষি তাকিয়ে হাসল। ওপাশ থেকে শোনা গেল,আপনি কে বলছেন?দিব্যেন্দু জিজ্ঞেস করল।
–কাকে চান আপনি?
–এটা কি রীণার নম্বর?
–কে রীণা?
–আচ্ছা আপনার নামটা বলবেন?
–চেনেন না জানেন না ফোন করেদিলেন?
–কাল রাতে এই নম্বর থেকে মিসকল এসেছিল তাই–।
–আপনি কে বলুন তো?
দিব্যেন্দু ফোন কেটে দিল।
বাবুলাল জিজ্ঞেস করল,কে বস?
–কে জানে?
–তোমার নম্বরটা দাও তো বস।
–আমি ঠিক জানি না সবে এটা পেয়েছি।
বাবুলাল হো-হো করে হেসে বলল, সত্যিই তুমি আমার বস,এইসা সিধাসাদা আদমী জিন্দেগিতে কভি দেখিনি। ভজা শুনলি বস কি বলল?
বাবুলাল ফোনটা নিয়ে টেপাটিপি করে ফোন ফিরিয়ে দিয়ে বলল,আমার নম্বর সেভ করে দিয়েছি। বস একটা রিকোয়েস কভি জরুরত পড়ে সিরিফ একটা কল,বাবুলাল হাজির।
ঋষি একটু ইতস্তত করে বলল,তোমাকে একটা কথা বলব?কিছু মনে করবে না?
বাবুলাল অবাক হয়ে দেখে তারপর ভজাকে বলল,দেখছিস বস কি বলছে?বস তুমি যা ইচ্ছে বলো আমি কিচছু মনে করব না।
একবার বলে ফেলেছে আর পিছিয়ে যাবার উপায় নেই ঋষী দ্বিধা জড়িত গলায় বলল,এসব ছেড়ে দাও।
বাবুলাল অবাক চোখে তাকাল। ঋষি বলল,একটা দোকান করো। খেটে খাওয়ার আলাদা আনন্দ। তুমি কি রাগ করলে?
বাবুলাল ফ্যাকাসে হেসে বলল,বস তোমার উপর রাগ করতে পারি?
দিব্যেন্দুর কাছে ব্যাপারটা রহস্যময় লাগে। রীণার হাজব্যাণ্ড হলে কে রীণা বলবে কেন?আর রীণার হাজব্যাণ্ড তাকেই বা ফোন করবে কেন?কিন্তু কাল রাতে ফোন করেছিল এই নম্বর তার প্রমাণ। তাহলে কেউ কিভুল করে কি তার নম্বর টিপে দিয়েছিল?
বাবুলালকে খারাপ লাগেনা,কি বলতে চাইছে বুঝতে পারে। ওকে তার কেন দরকার পড়বে? ফোন পকেটে রেখে দিয়ে ঋষি হাসল। চা শেষ হয়ে গেছে গেলাসটা দোকানে দিতে গেলে দেখল দোকানের মালিক অন্য দৃষ্টিতে দেখছে। বাবুলাল বলল,আসি বস?ভজা ইস্টাট কর।
ঋষী বাসার দিকে পা বাড়ায়। কাকে কখন কি দরকার পড়ে কে বলতে পারে?সাধারণ লোক ওকে কিভাবে দেখে সে ব্যাপারে বাবুলাল সচেতন। মানুষের ঘৃণা পেতে পেতে হয়তো ক্রমশ আরও ঘৃণ্য হয়ে যাচ্ছে।
বড়দি ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। দরজা ভেজানো ছিল। ঋষি ঢুকতেই টুকুন বলল,মামণি এসে গেছে।
বড়দি প্লেটে করে খাবার দিয়ে বলল,বেরোলে আর বাড়ীর কথা মনে থাকেনা।
সূর্য ঢলে পড়েছে পশ্চিমে। লেবু বাগানে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ছোটো আয়না নিয়ে মুখে ক্রিম লাগিয়ে বেলা একটা অন্য ক্রীমের ডিব্বা নিয়ে বসল। বেলা এখানে এসেছে গত বছর। বয়স পচিশ-ছাব্বিশ হবে। তর্জনীতে ক্রীম তুলে নিজের যৌনাঙ্গে ভরে ঘোরাতে থেকে। মাসী এই ক্রীম দিয়েছে। কত রকমের সাইজ হয় তার জন্য সতর্কতা আর কি। সামান্য ফেটে ছড়ে গেলেও ইনফেকশনের ভয় থাকেনা। চোদার সময় বেশ্যাদের কেউ মাগী মনে করেনা। বাইরে দাওয়ায় কনকদি কমলামাসী পুতুলরা কাল রাতের ব্যাপার নিয়ে গল্প করছে। প্রতিটি কথা ঘরে বসেও বেলার কান এড়ায় না।
–কনকদি তোমার লাল এসেই সব কেচে দিয়েছে নাহলি দেখতে মজা?পুতুল কথাটা বলল।
কনক অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল,কই রাতে তো বলিস নি?
–বারে ত্যাখন তোমার ঘরে কাস্টোমার ছেল,কিকরে বলব?
–গাড় মেরেছে কাস্টোমারের–। আমাকে বলবি তো।
ঠোটে ঠোট চেপে লালের কথা ভাবে কনক। গত সপ্তাহে আসেনি। আসলেও চোদেনা,খালি একথা সেকথা। গুদের নেশা নেই এইরকম পুরুষ দেখেনি। আগেরবার যাওয়ার আগে একবার শুধু কিচ করেছিল।
–কনকদি তুমি যদি দেখতে কত নোক জমেছিল। বেলা ঘর থেকে বেরিয়ে বলল।
–কেমন দেখতে মাগীটা?ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল কনক।
–কি করে দেখপো?ইয়া ঘোমটা জড়ায়ে বাইকে উঠে চলি গেল। বেলা বলল।
–কোনো মরদ ছিলনা?
–ছেল হয়তো দেখতি পাইনি।
–লালের বাইক?
–না অন্য একজনের বাইক।
কথাটা শুনে স্বস্তি বোধ করে কনক। কমলার দৃষ্টি কনকের উপর। একটা কথা মনে হলেও বলতে ভরসা হয়না। কমলিমাসী চুপ করে আছে দেখে কনক বলল,মাসী তুমি কিছু বলছো না?
–কি বলবো বাছা,কত রঙ ঢঙ দেখলাম,বয়স তো কম হলনা। কমলামাসীর গলায় বেদনা।
সকলে খিল খিল করে হেসে উঠল।
কমলা মাসীর গা জ্বলে যায় হাসি দেখে ঠোট বেকিয়ে বলল,রস আছে হাস,রস শুইকে এলি বুঝবি।
পুতুল বলল,তোমার রস কি শুকিয়ে গেছে?
–ধ্যুত পোড়ারমুখী। মাসী গজগজ করতে করতে অন্যত্র চলে গেল।
–কথাটা মাসী ভুল বোলে নাই। কনক বলল। যদিন চ্যাটের ক্ষিধে মিটাইতে পারবা না সেদিন বুঝবা প্যাটের ক্ষিধা কারে বলে।
পরিবেশ গম্ভীর হয়ে এল। বেলা পুতুলের কম বয়স এভাবে বলে ওদের মন ভেঙ্গে দেওয়া ঠিক হলনা কনক ভাবে। আলো কমে আসে। ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে আলো। এইবার কাস্টমার আসার পালা। দুপুরের দিকে ছুটকো-ছাটকা কিছু আসে। সস্তার কাস্টোমার। লালের চিন্তাটা কনকের মাথা থেকে যায়না। পুতুল বেলা চলে যাবার পর কমলামাসী আবার এল। কনকের পাশে বসে সিগারেটের প্যাকেট বের করে বলল,খাবি?
কনক হাসল। কমলামাসী ঠোটে সিগারেটে আগুন দিয়ে ধোয়া ছেড়ে বলল,ও তোর লাল তো এসব পছন্দ করে না।
কনক হাসল। লালের সঙ্গে পরিচয়ের আগে কনক সিগারেট খেত। কিন্তু ও মেয়েদের সিগারেট খাওয়া পছন্দ করে না। কমলামাসী সিগারেটে টান দিয়ে বলল,একটা কথা বলব রাগ করবি না তো?
–একটা কেন য্যাতো ইচ্ছে বল।
সিগারেট টানতে টানতে দৃষ্টি বহুদুরে কমলা বলতে থাকে,ত্যাখনো নেবু বাগানে পাকাপাকি ভাবে আসিনি। বস্তিতে থাকতাম ঘরেই দু-একটা নোক নিতাম। দিনি সপ্তায় একটা-দুটো নিলিই চলে যেত। ছিগ্রেট মাল কিছুই খেতাম না। বেশ চলতিছেল হঠাৎ একদিন শামদের এল। আলমবাজারে নামকরা গুণ্ডা,বিহারী।
কনকের সন্দেহ হয় মাসী কি লালকে নিয়ে কিছু বলবে?
কমলা মাসী আবার শুরু করল,বোকাচোদা বলে গাড়ে ঢোকাবে। ঐ ল্যাওড়া গাড়ে ঢোকালে আমি বাচবো?বললাম,আমি গাড়ে নিইনা। কি করল জানিস?
কনক মুখ ফিরিয়ে তাকালো।
–খোট্টাটার গুদের চেয়ে গাঁড় বেশি পছন্দ। বন্দুক বের করে নলটা গুদে ভরে দিল। বুক শুকিয়ে গেল আমার বুঝি শেষ দিন।
–বন্দুক এতো এই লম্বা।
–অত লম্বা নাআ। কমলামাসী হাত দিয়ে দেখাল রেই এত টুকুন।
–ও পিস্তল।
–হোক পিস্তল গুলি ছুটলি গুদের কি দশা হত বুঝেছিস?
–গুদ কেন তুমিই কি বাচেতে?
–আমি উপুড় গাঁড় উচিয়ে থাকি। পাছা ফাক করে পড়পড় করে ভরে দিল আখাম্বা বাশ।
–তুমি নিতে পারলে?কষ্ট হলনা?
–আর কষ্ট,প্রাণের চেয়ে কষ্ট বেশি?দমবন্ধ হয়ে আসে প্রায়। ফচর-ফচর সেই ঠাপ,শরীল ভেঙ্গে যাবার উপক্রম। কয়দিন হাগতে গেলে বেদনা হত,মাসীর কথামত মলম লাগালাম। তারপর অবশ্য খুব যত্ন আদর করেছিল। মিথ্যে বলব না ট্যাকা পয়সাও কম দেয়নি। শামসেরের জন্য ত্যাখন কমলির খুব খাতির। কোনো কাস্টমার ট্যা-ফো করতি পারত না।
–এতদিন পরে এসব কথা বলছো?কনক জিজ্ঞেস করল।
–বয়স থেমে থাকেনা। শামসেরের আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। একদিন দেখি মালার ঘর থিকে বের হচ্ছে। শামসের হয়ে গেল মালার আশিক।
–তোমাকে ভুলে গেল?
–সেইতো বলছি গুণ্ডাবদমাশদের বিশ্বাস করা ঠিক না।
–তুমি কি লালের কথা বলচো?
–এই শরীল কি চেরকাল থাকবে?
–মাসী লাল শরীরের জন্য আসেনা। অধ্যেক দিন কিছুই করেনা।
–টাকা দেয়?
–আসলিই টাকা দেয়। নেবো না বললি রাগ করে। কিবলে জানো,আমার কাছে থাকলি খরচা হয়ে যাবে তুমি রাখো। কথাগুলো বলতে বলতে কনকের গলা ধরে আসে।
কমলামাসী উঠে দাড়ায় মনে মনে বলে ছেনালী যত সব! বারো ভাতারী মাগীর সখ হয়েছে এক ভাতারের!সময় হলে বুঝবি।
কনক স্বপ্ন দেখে লালকে নিয়ে ঘর বাধার স্বপ্ন। কবে এই লেবু বাগানের ত্রিসীমানা থেকে বেরিয়ে মুক্ত আকাশে নীচে দাঁড়িয়ে বুক ভরা নিঃশ্বাস নেবে সেই আশায় বিভোর কনক।
0 Comments