সাবিহা বিছানায় শোয়ার চেষ্টা করতেই ওর ব্যথা এতো বেড়ে গেলো, যে চট করে সে আবার ও উঠে গেলো। মানে, বিছানায় শুতে গেলে যেই চাপ লাগছে, আর রক্তের প্রবাহ কমে গিয়ে স্নায়ুর উপর চাপ পড়ছে, তাই ব্যথা আরো বেড়ে যাচ্ছে। সাবিহা খুব ভয় পেয়ে গেলো, এই ব্যথা বেড়ে গেলে, সে রান্না করবে কি করে, আচ্ছা, রান্না না হয়, ছেলেকে দিয়ে বলে কইয়ে করানো যাবে, কিন্তু ওর বাথরুম কিভাবে করবে, বিশেষ করে হাগু করার পড়ে পানি ঢেলে সুচে নিবে কিভাবে? কাপড় পড়া বা খোলা না হয় ছেলের সাহায্য নেয়া যাবে, কিন্তু বাথরুম? একটু আগে ছেলের সামনে পেশাব করতে ওর লজ্জা হচ্ছিলো, সেখানে ছেলের সামনে হাগু দিবে সে কিভাবে? আর তাছাড়া, ওর ভালো ডান হাত কিভাবে সে নিজের হাগু সুচার কাজে ব্যবহার করবে? ডান হাত দিয়ে তো ওরা খাবার খায়, ওই হাতে নোংরা ধরে কিভাবে আবার খাবার খাবে সে? মনে মনে সাবিহা নিজের এই বিপদের সাহায্য চাইলো উপরওলার কাছে।
আহসান ফিরে এলো প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে, বেশ কয়েক ধরনের বেশ কিছু গাছ গাছালি নিয়ে ফিরলো সে, ওদের ভাগ্য ভালো, এর মধ্যে কয়েকটি ঠিকই ব্যথা কমানোর মত গাছ ছিলো। একটা গাছের পাতা বেঁটে রস বের করে খেলে ব্যথা কমে, সেটা হাত দিয়ে পিষে পিষে রস বের করতে শুরু করলো আহসান।
আর অন্য একটি ঘাসের মত চিকন চিকন পাতা অনেকটা পিষে দেবার মত করে রস বের করে হাতের কব্জির জায়গায় লাগিয়ে দিলো আহসান। সাবিহার শরীর একটু একটু করে যেন খারাপ হতে শুরু করলো। ওদিকে বৃষ্টি একটু কমে আসতেই সাবিহা চিন্তা করতে লাগলো দুপুরের রান্নার ব্যবস্থা করবে কিভাবে।
আহসান ওর মায়ের সাহায্যের জন্যে প্রস্তুত, তাই বলতে গেলে পুরো রান্নার কাজই আজ আহসানকে দিয়ে সারিয়ে নিলো সাবিহা। সাবিহা সামনে দাড়িয়ে থেকে নির্দেশনা দিয়ে দিয়ে আহসানকে দিয়ে কাজগুলি করালো। আহসান খুশি মনেই ওর আম্মুর সব কাজ শেষ করে যখন স্নান সেরে নিলো, তখন প্রায় বিকাল হয়ে গেছে। দুজনে মিলে খেয়ে নিলো।
সন্ধ্যের কিছু আগে থেকেই সাবিহার জ্বর চলে আসলো। ওদিকে বাকেরের ফিরার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সাবিহার একটু চিন্তা হলো, বাকের তো এতো দেরি করে ফিরে না কোনদিন। আহসান যথা সাধ্য সেবা করতে লাগলো ওর মায়ের, জ্বরে আক্রান্ত ময়ের কপালে পানি পট্টি দেয়া থেকে শুরু করে আরও যত রকম কাজের প্রয়োজন, সবই আজ আহসান করলো।
সন্ধ্যের পর পর জ্বর এতো বেড়ে গেলো জ্বরের ঘোরে সাবিহা প্রলাপ বকতে শুরু করলো। ওদিকে ওর বাম হাত যেন ফুলে ঢোল হয়ে গেলো, ফুলে এতো মোটা হয়েছে, যেন ওটা একটি হাত নয়, দুটি হাত। আহসান খুব চিন্তায় পরে গেলো, এদিকে ওর আব্বু আসছে না, আর অন্য দিকে ওর আম্মুর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করেছে। কি করবে, চিন্তায় যেন কান্না পাচ্ছিলো ওর।
ওর চোখের কোনে বার বার অশ্রু এসে জমা হতে লাগলো। সাবিহা চোখ বন্ধ করে পড়ে আছে, থেকে থেকে ব্যথায় আর জ্বরের তাড়নায় একটু কেঁপে কেঁপে উঠছে। সামনে বড় একটা রাত, কিভাবে যে আহসান ওর মায়ের সেবা করে ওকে সুস্থ করে তুলবে, ভেবে পাচ্ছিলো না সে।
ওদিকে বাকের সকালে কাজে বেড়িয়ে যাবার পড়ে, যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন সে ওই দ্বীপের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের কাছে ছিলো, দৌড়ে ওটার নিচে মাটির পাহাড়ের আড়ালে সে আশ্রয় নিলো। প্রায় ২ ঘণ্টা পর্যন্ত যখন বৃষ্টি কমলো না তখন সে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ওর গন্তব্যের দিকে রওনা দিলো।
ওর উদ্দেশ্য ছিলো একটা ভালো জায়গা দেখে বেশ কিছু মাছ শিকার করা, আর সাথে ওদের খাবারের জন্যে কিছু ফল বা সাক সবজীর ব্যবস্থা করা। মাছ ধরতে নেমে বেশ কিছু মাছ পেলো সে, ওসব করতে করতে বিকাল হয়ে গেলো, তখন সে ফিরার কথা চিন্তা করলো।
এই দ্বীপটির মাঝে বেশ গভীর জঙ্গল আর গাছ গাছালীতে ভরা, ওখানে খাবারের সন্ধান করতে গিয়ে সে বেশ বড় আমাদের দেশের পেয়ারার মতন একটি ফল দেখতে পেলো।
বাকেরের মন খুশিতে ভরে উঠলো, ওর বেশ ক্ষুধা লেগে গিয়েছিলো, তাই সে কামড় বসালো ফলটির গায়ে। খেতে বেশ মজা, তাই আরও কয়েক কামড় খাওয়ার পড়েই বাকেরের মাথা ঘুরে উঠলো, আর সে পড়ে গেলো মাটিতে, আসলে ওই ফলতি ছিলো একটি বিষাক্ত ফল, যা মানুষ খেলে অজ্ঞান হয়ে যায়, আর যখন জ্ঞান ফিরে আসে, তখন ও শরীর নাড়ানোর মত শক্তি থাকে না প্রায় ২৪ ঘণ্টা। বাকের ওখানেই অজ্ঞান অচেতন হয়ে পড়ে রইলো পুরো রাত।
ওদিকে আহসানের প্রখর মনোযোগ আর সেবায় প্রায় মধ্যরাতের দিকে সাবিহার জ্বর কিছুটা কমলো। ছোট বেলা থেকেই বেশ ভালো সুস্বাস্থ্যের অধিকারি ছিলো সাবিহা, চট করে জ্বর, সর্দি, কাশির মত অসুখ ওর খুব কমই হয়েছে, আজ যেই জ্বর আসলো, সেটা ও হাতের ব্যাথার কারনে। ওদিকে জ্বর কমলে ও সাবিহার হাতের কব্জির ব্যথা ধীরে ধীরে ওর পুরো হাত সহ কাধকে ও আক্রান্ত করে ফেলতে শুরু করেছিলো।
আহসান ওর ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে যা করা যায়, এর সবটাই মায়ের জন্যে করছিলো। মনে মনে খুব ভয় ও কষ্ট ছিলো আহসানের, ভয় হচ্ছে মাকে হারানোর ভয়, আর কষ্ট হচ্ছে মায়ের ব্যথা ও জ্বরের কষ্ট দেখে। মধ্য রাতে সাবিহার জ্বর একটু কমলে ওর যেন জ্ঞান ফিরে আসলো, পাশে বসে থাকা উদ্বিগ্ন মুখের ছেলেকে কাছে ডেকে এনে চুমু খেলো সে।
ছেলেকে ঘুমিয়ে পড়তে বললো, কিন্তু ছেলে না ঘুমিয়ে মাকে পাহারা দিয়েই কাটালো পুরো রাত। ভোরের আলো ফুটছে এমন সময়, সাবিহার জ্বর একদম কমে গেলো, সে ধীরে ধীরে উঠে বসে দেখতে পেলো, আহসান পিঠে হেলান দিয়ে বসে বসেই ঘুমিয়ে পড়েছে সকালের দিকে। সাবিহার খুব পানির চেষ্টা পেয়েছিলো, কিন্তু উঠে বসে যে পানি নিয়ে খাবে, সেই শক্তিটুকু ও জ্বর ওর শরীরের রাখে নাই। প্রায় অর্ধেক রাত তো সে শুধু কেঁপেছে জ্বরের তাড়নায়।
ছেলেকে ডেকে তুলে সাবিহা পানি খেতে চাইলো, আহসান খুব লজ্জা পেয়ে গেলো, কখন যে সে ঘুমিয়ে পড়েছে, মনে নেই। দ্রুত মাকে পানি এনে খাওয়ালো। ওর বাবা ফিরেছে কি না জিজ্ঞেস করলো, ফিরে নাই শুনে একটু দুশ্চিন্তা করলো যে কেন ফিরে নাই। এর পড়ে আবার ঘুমিয়ে গেলো সাবিহা। আহসান উঠে ওর মায়ের জন্যে অল্প কিছু খাবার তৈরি করলো। এতদিন ধরে মাকে কাজ করতে দেখে যা কিছু শিখেছিলো, সেটা কাজে লাগালো।
সাবিহার ঘুম ভাঙলো অনেক সকালে। রাতের জ্বর কমলে ও হাতের কব্জির ব্যথা কমে নাই। মা, ছেলে নাস্তা করে নিলো, এর পড়ে সাবিহার বাথরুমে যাওয়ার দরকার হলো। যদি ও সে একাই যেতে চেয়েছিলো, কিন্তু আহসান ওকে একা যেতে দিলো না, সাথে গেলো সে, ওর কাছ থেকে দুই তিন হাত দূরে বসে সাবিহা বাথরুম করছিলো, বাথরুম শেষে সে আহসানকে পানি দেয়ার জন্যে ডাকলো।
আহসান চিন্তা করছিলো, ওর মা কিভাবে পানি খরচ করে পরিষ্কার হবে? সাবিহা যখন পানির জন্যে ছেলেকে ডাকলো, তখন আহসান নিজে থেকেই ওর মাকে পরিষ্কার করিয়ে দিতে উদ্যত হলো। সাবিহা কিছুক্ষন গাইগুই করলো, কিন্তু আহসান ওকে ডান হাতে নিজেকে পরিষ্কার করতে দিলো না, সাবিহা আর জোর করে নি।
ঠিক ছোট বেলায় যেভাবে ওর মা ওকে পানি খরচ করে পরিষ্কার করিয়ে দিতো, ঠিক সেভাবেই আজ আহসান ওর মা কে পরিষ্কার করিয়ে দিলো। আর সেটা করতে গিয়ে সাবিহার যোনি সহ ওর পাছার ফুটো সব কিছুতেই হাত লাগাতে হলো আহসানের। কিন্তু খুব খুশি মনে মাকে পরিষ্কার করিয়ে ওদের মাচায় ফেরত নিয়ে আসলো। সাবিহার যদি ও লজ্জা লাগছিলো, কিন্তু উপায় নেই বলে আর ছেলে করতে চায় বলে ওকে এসব করতে দিলো সে। মাকে সকাল বেলায় কাপড় পালটিয়ে দিয়ে নতুন কাপড় পড়িয়ে দিয়ে পুরনোগুলি নিয়ে ধুয়ে আনলো আহসান।
এদিকে বেলা বাড়তেই সাবিহার চিন্তা হতে লাগলো বাকের কেন ফিরছে না দেখে, ওর কি কোন বিপদ হয়েছে, এমন চিন্তা হতে লাগলো ওর। দুপুরের কিছু পড়ে ও একটু জোর করেই সাথে কিছু খাবার দিয়ে ছেলেকে পাঠিয়ে দিলো ওর বাবাকে খুঁজে আনতে। আহসান যেতে চাইছিলো না, কিন্তু মায়ের অবাধ্য না হয়ে আদেশ পালন করাতাই ছিলো ওই মুহূর্তে বুদ্ধিমানের কাজ, যদি ও ওর মনে কাজ করছিলো যে বাবা না থাকলেই তো ভালো, সে ওর মাকে একলা নিজের করে পাবে, কিন্তু আবার ভয় হতে লাগলো, এই নির্জন দ্বীপে কষ্ট করে টিকে থাকার মত শক্তি ও বুদ্ধি কি ওর আছে? ওর বাবা না থাকলে এই দ্বীপে ওদের এতদিন বেঁচে থাকা মোটেই সম্ভব হতো না।ওদিকে দুপুরের কিছু আগে বাকেরের ঘুম ভাঙলো। ওর শরীরের নড়াচড়া করার মত শক্তি ফেরত এলো। উঠে বসে সে বুঝতে পারলো যে, পুরো রাত সে এখানেই কাটিয়ে দিয়েছে। সাথে থাকা বাসি খাবার ও পানি খেয়ে নিয়ে শরীরে একটু শক্তি ফিরে পেতেই উঠে বসলো সে।
এই বিষাক্ত ফল খেয়ে ওর যেই অবসথা হয়েছে, ভেবে মনে মনে শিউরে উঠলো সে। যদি বেশি ফল খেয়ে ফেলতো, তাহলে ওর এই ঘুম হয়ত আর কখনোই ভাঙ্গতো না। উঠে বসে আবার সাগর কিনারায় এসে দেখলো যে ওর ধরে রাখা গতকালের মাছগুলি দ্বীপের বালিয়াড়ির মধ্যে যে গর্ত করে সে রেখে গিয়েছিলো, ওগুলি ওখানেই আছে।
ওগুলি নিয়ে বাড়ির পথ ধরবে চিন্তা করতেই ওর নজরে এলো, দ্বীপ থেকে প্রায় ২/৩ কিলোমিটার হবে দুরত্তে সাগরে একটা জাহাজের মতন বস্তু দেখা যাচ্ছে। খুশিতে মন ভরে উঠলো বাকেরের, ওর ছেলে বউকে খবর দিতে দিতে যদি জাহাজটি চলে যায়, এই ভয়ে সে ওখানেই থেকে ডাকতে শুরু করোলো, কিন্তু একটু পড়েই ওর খেয়াল হলো যে, জাহাজটি স্থির হয়ে আছে, নড়ছে না।
বাকের, জঙ্গল থেকে কিছু গাছ কেটে দ্রুত সময়ের মধ্যেকোন রকম একটি ভেলা বানিয়ে ওটাতে চড়ে জাহাজের দিকে চলতে শুরু করলো। যতই নিকটবর্তী হলো, ততই বুঝতে পারলো যে, এটি পুরো একটি জাহাজ নয়, বরং একটি বড় জাহাজের ভাঙ্গা কিছু অংশ, আর জাহাজে কোন জন প্রানি নেই। তারপর ও শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে সে ওই ভাঙ্গা জাহাজের কাছে যেতে লাগলো।
ওখানে পৌঁছার পড়ে বুঝতে পারলো, যে এটা ও একটা ঝড়ের কবলে পড়ে ছেরাবেরা হয়ে গেছে, জাহাজের ইঞ্জিনের অংশ পুরো উড়ে গেছে, কাঠের তৈরি ভাঙ্গা জাহাজটির প্রায় অর্ধেক ডুবে আছে। গতকাল ওদের দ্বীপে যেই বৃষ্টি হয়েছিলো, ওটা আসলে সাগরের বড় কোন ঝড়েরই কিছু অংশ মাত্র।
পুরো জাহাজের চারপাশ ঘুরে বাকের বুঝতে পারলো যে এটাকে তীরে টেনে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব, তাই এর ভিতরে থাকা ও জাহাজের ভিতরে পানিতে ভেসে থাকা কিছু মালামাল যদি উদ্ধার করতে পারে সে, তাহলে দ্বীপের জীবনটা বেশ ভালো মতন কাটানো যাবে। সে জাহাজের থেকে কিছু কাঠ খুলে ওর বেয়ে নিয়ে আসা ভেলাটাকে আরো বড় করে নিলো।
আর হাতের কাছে যা যা পাচ্ছে তুলে নিতে শুরু করলো ওই ভেলায়, জাহাজের মাঝের অংশে বেশি পানি, সেখানে ডুব দিয়ে কি কি পাওয়া যায়, সেগুলি খুঁজে বের করতে লাগলো বাকের। আসলে অনেক মাল বোঝাই জাহাজটি গতকালের টাইফুন ঝড়ের কবলে পড়েছিলো, জাহাজের কোন নাবিক বেঁচে নেই, আর জাহাজটি ও ডুবতে বসেছে, এটিকে নিয়ে বেশি কিছু আশা করা সম্ভব না, তাই এটা থেকে যা যা মাল নেয়া যায়, নিতে লাগলো বাকের।
তীর থেকে একবার গিয়ে ভেলা ভর্তি করে তীরে ফিরে আসতে ওর প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় লেগে গেলো। জাহাজে যা জিনিষপত্র আছে, সেগুলি উদ্ধার করতে ওর কমপক্ষে এই রকম ১০ থেকে ১২ বার যেতে হবে। কারণ ওর ছোট ভেলায় খুব অল্প জিনিষই আঁটছিলো। তীরের কাছে পৌঁছার আগেই ওখানে এসে উপস্থিত হলো আহসান।
বাবাকে একটা কাঠের ভেলায় করে সমুদ্র থেকে তীরের দিকে আসতে দেখলো সে। আর দূরে দাঁড়ানো জাহাজটা ও চোখে পড়লো, ওর মনে ও আশার সঞ্চার হলো। বাকের কাছে আসার পরে সব জানতে পেরে আবার ও নিরাশার সমুদ্রে পরে গেলো আহসান। বাকের কোন দুর্ঘটনার কারনে রাতে বাড়ি ফিরতে পারে নাই, সেটা জানালো ছেলেকে।
আহসান ও ওর আম্মুর দুর্ঘটনার কথা জানালো বাবাকে। অনেকদিন বাদে বাবা ছেলে বেশ কিছু সময় কথা বললো। বাকের মনে মনে প্ল্যান করে ফেললো। ছেলেকে বললো, কিছু জিনিষ সঙ্গে নিয়ে ওর মায়ের কাছে ফিরে যেতে, কারণ ওর মা অসুস্থ আর সাথে থাকার মত কেউ নেই, আর বাকের এখনই ফিরে যাবে না, ও আরও ২/৩ দিন ওখানে থেকে ওই জাহাজ থেকে যা কিছু জিনিষ উদ্ধার করা যায়, সেটা উদ্ধার করবে।
এর পরে কাজ শেষ হলে সে বাড়ি ফিরে যাবে, এর পরে সুবিধা মতন সময়ে প্রতিদিন কিছু কছু করে ওরা বাপ ব্যাটা এই সব মাল পত্র ওদের নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যাবে অল্প অল্প করে। কিন্তু বাকের এখানে একা একা থেকে সমুদ্রে বার বার গিয়ে, প্রায় ৩ কিলোমিটার সমুদ্র পাড়ি দিয়ে জিনিষ পত্র উদ্ধার করা ও বেশ রিস্কি হয়ে যাচ্ছে যদিও এই মুহূর্তে সমুদ্র বেশ শান্ত, কিন্তু যেহেতু সাবিহা অসুস্থ, তাই ওকে একা রেখে নিজের সাথে ছেলেকে নিয়ে এখনাকার কাজ করতে মন সায় দিলো না বাকেরের।
তাছাড়া ওই জাহাজের যেই অবস্থা, তাতে এখন থেকেই মাল পত্র উদ্ধারে নেমে না গেলে, কখন ওটা ডুবে যায়, বা কখন ওটা স্রোতের টানে কোনদিকে চলে যায়, মোটেই ভরসা করা যায় না। আর এই রকম সুযোগ তো বাকের রোজ রোজ পাবে না, যেহেতু উপরওয়ালা ওদের জন্যে নিজে থেকেই কিছু জিনিষ পাঠিয়েছে, তাই কষ্ট শিকার করে হলে সেগুলিকে তীরে নিরাপদে তুলে আনার দায়িত্ব এখন বাকেরের। ও ওর সাথে আনা কিছু খাবার দিয়ে গেলো আহসান, যদি ও পরের দিন থেকে প্রতিদিন একবার এসে আহসানকে খাবার দিয়ে যেতে বললো বাকের।
বাবার কথা মত যেটুকু জিনিষ সে একবারে বহন করে নিতে পারে, সেটুকু নিয়ে বাড়ির পথ ধরলো আহসান, সাথে করে, কিছ ভালো খবর আর কিছু খারাপ খবর ও নিয়ে গেলো ওর মাকে জানানোর জন্যে। আহসান ফিরে এলে সব কিছু জানতে পারলো সাবিহা। বাকের যে আগামি ২/৩ দিন ফিরতে পারবে না জানলো সে। ওর জ্বর এখন নেই, আর হাতের ফোলা ফোলা জায়গাগুলির ফোলা কমতে শুরু করেছে।
আহসান ওর মাকে হাতে ধরে নিয়ে গোসল করিয়ে আনলো এর পরে মা ছেলে রাতের খাবার খেয়ে দ্বীপের বালু তট ধরে হাতে হাত রেখে হেঁটে বেড়াতে বেড়াতে কথা বলতে লাগলো। এই দ্বীপ থেকে উদ্ধার পাওয়া হয়ত আর হয়ে উঠবে না, এটা ওদের মন খারাপের একটা দিক ছিলো, আবার অন্য দিকে কিছু জিনিষ পত্র পাওয়া যাচ্ছে, ওদের এই ক্ষুদ্র সংসারের জন্যে, সেটাও ভালো খবর। যদি কিছু কাপড় আর লেখাপড়ার জিনিষ পাওয়া যায়, তাহলে ওদের অনেক কাজে লাগবে সেগুলি।
রাতে ঘুমোতে যাবার আগে আহসান ওর মাকে জড়িয়ে ধরে অনেকগুলি চুমু দিলো, দুজনে মিলে চুমু খেতে খেতে আহসানের হাত চলে আসলো ওর মায়ের বুকের কাছে, কাপড়ের উপর দিয়ে ওর মায়ের নরম দুধকে এক হাত দিয়ে চেপে মুঠো করে ধরলো আহসান, আজ সাবিহা ওকে কিছু বললো না। আহসান প্রস্তাব দিলো যে, ওরা দুজনে মিলে মাষ্টারবেট করুক, কিন্তু সাবিহা রাজি হলো না, আগামিকাল করবে কথা দিয়ে ঘুমাতে বললো ওকে।
দুজনে আজ একই বিছানায়, যদি ও গত রাতে ও ওরা দুজনে একই বিছানায় ছিলো, কিন্তু অসুস্থতার কারনে ওদের মধ্যে কিছু হয় নাই। আজ যেন আহসানের ঘুম আসছে না, ওর মাকে জড়িয়ে ধরে কিছু একটা করতে ইচ্ছে করছে। ওদিকে সাবিহার মনে অবসথা আরও খারাপ। ওর ছেলে ওর কাছে কি চায়, সেটা জেনে বুঝে ও ওকে বার বার ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে, ওর মা যে ওর জীবনের কতখানি, সেটা গতকাল ওরা মা ছেলে দুজনেই হাড়ে হাড়ে বুঝেছে, সাবিহাকে যে কতখানি ভালবাসে আহসান, সেটা সাবিহার বুঝতে বাকি নেই।
এটা শুধু মায়ের প্রতি ছেলের গভির ভালবাসা নয়, ের ভিতরে আরো আছে নিজের জীবনের প্রথম প্রেমিকার পরতি প্রেমিকের তিব্র অনুরাগ। সেটা যে বাকেরের নিরব ভালবাসার চেয়ে অনেক বেশি তীব্র, আকাশের মত বড়, ওদের সামনে ফুলতে থাকা সাগরের চেয়ে ও গভীর, সেটা জেনে ভালো লাগলো সাবিহার। ওর জীবনের প্রথম প্রেমিক পুরুষের মত মনে হচ্ছিলো ওর কাছে নিজের ছেলেকে। মা আর ছেলের নাড়ীর বাধন যেন নতুন করে আবার মিলিত হতে যাচ্ছে।
পাশ ফিরে শুয়ে কিছুক্ষন এপাশ ওপাশ করে কাঁটালো ওরা দুজনেই। দুজনের মনে অনেক কথা, আবেগ, ভালোবাসা, সে সব যেন অন্যের সামনে প্রকাশ না করলে চলছে না ওদের। দুজনেই হঠাত করে দুজনের দিকে ফিরে দুজনেকেই চোখ মেলে তাকিয়ে থাকতে দেখে হেসে ফেললো।
“কি রে ঘুমাস নি সোনা?”—সাবিহা আদর মাখা কণ্ঠে জানতে চাইলো।
“না, আম্মু, ঘুম আসছে না একদম, গত রাতের কথা মনে পড়লেই আমার শরীর হিম হয়ে যাচ্ছে, চোখের ঘুম উড়ে যাচ্ছে। আমি যে কি ভয় পেয়েছিলাম, তোমার ওই অবস্থা দেখে, বার বার শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিলো, আমার মায়ের কিছু হলে আমি বাঁচবো না, এই দ্বীপেই আমার ও মৃত্যু হয়ে যাবে…”-আহসান আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলো, কিন্তু সাবিহা ওর ভালো হাতের তালু দিয়ে ছেলের মুখ চাপা দিলেন।
“এসব কথা উচ্চারন করে না বাবা, আমার ও তো সব চিন্তা তোকে নিয়েই, তোকে ছেড়ে আমি জীবনের ওই পাড়ে গিয়ে কিভাবে থাকবো? মাঝে মাঝে উপরওয়ালা আমাদের পরীক্ষা নেন, এখন দেখ যে, এই দুর্ঘটনার কারনেই হয়ত তোর আব্বু আবার ও একটা ভাঙ্গা জাহাজের সন্ধান পেয়েছে…”-সাবিহা ছেলের গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো।
“তোমার হাতের ব্যথা কি কমেছে আম্মু?”
“অল্প কমেছে, এখন মনে হচ্ছে, হাড় বোধহয় ভাঙ্গে নি, মনে হয় স্নায়ুতে চাপ লেগেছে বা কোন স্নায়ু ছিঁড়ে গেছে হয়তোবা…”
“কিন্তু, তোমার হাতের ফুলা ও তো কমছে না?”
“কমবে, এইসব ব্যাথা চট করে সারে না রে, অনেক সময় লাগে সেরে উঠতে, আবার ব্যাথা কমলে ও ভারী কিছু উঠাতে গেলে বা বেশি চাপ খেলে আবার ও ব্যথা বেড়ে যাবে…”
“তোমার ব্যথা আর কষ্ট দেখে আমার ও খুব খারাপ লাগছে আম্মু…কি করবো বুঝতে পারছি না…”
“তুই যে আমাকে এই পৃথিবীর সব কিছুর চেয়ে বেশি ভালবাসিস, সেই জন্যে এমন মনে হচ্ছে তোর…আজ দু দিন তোকে অনেক কষ্ট দিচ্ছি? না? অনেক কাজ করাচ্ছি?…”
“না, আম্মু, যত কাজই করি, তুমি আমার দিকে আদরের চোখে তাকালে বা আমাকে একটা চুমু দিলেই আমার সব কাজের কষ্ট দূর হয়ে যায় তো…”
“আচ্ছা, তাই নাকি, তাহলে এখন থেকে আমি তোকে দিনে শুধু মাত্র একবার একটি চুমুই দিবো, ঠিক আছে?”-সাবিহা ওর গলাতে দুষ্টমি নিয়ে এসে বললো।
“না, আম্মু, একটি না, আমাকে তুমি দিনে মাত্র এক হাজার চুমু দিবে, তাহলে আমি তোমার সব কাজ করে দিবো…”
“এই না বললি যে একটি চুমু দিলেই হবে?”
“হুম, বলেছি, কিন্তু সেটা কষ্ট দূর করতে, কিন্তু আমাকে আদর তো দেখাতে হবে তোমাকে, তাই না? সেটার জন্যে প্রতিদিন ১ হাজার চুমু দিলেই চলবে…”-আহসানের গলাতে ও দুষ্টমি।
“আম্মু, আমার সব সময় ইচ্ছে করতো, যেন আমি তোমার সাথে এইভাবে রাতে ঘুমাতে…আজ দুদিন আব্বু না থাকার কারনে, তুমি আমার সাথে ঘুমাচ্ছো, আব্বু চলে এলেই তো তুমি আবার আব্বুর সাথেই ঘুমাবে…”-আহসান যেন অনুযোগের স্বরে ওর আম্মুর দিকে তাকিয়ে বললো। ছেলে কি বলতে চায় সেটা না বুঝার মতন বোকা সাবিহা নয়, কিন্তু এই সব নিয়ে কথা যত কম বলা যায়, ততই ভালো।
“সে তো ঘুমাতেই হবে, আমি তোর আম্মু হলে ও, তোর আব্বুর বউ তো…স্বামীর সাথেই তো ঘুমাতে হয় মেয়েদেরকে, জানিস না?”-সাবিহা বুঝে ছেলের কষ্ট কোথায়।
“হুম, সে জানি, কিন্তু এই দ্বীপে আমি কি কোনদিন কোন মেয়েকে আমার বউ বানিয়ে এভাবে নিজের পাশে রেখে ঘুমাতে পারবো? সেটাই ভাবছি? আব্বু যেমন ঘুমের মাঝে তোমাকে জড়িয়ে ধরে, ওভাবে জড়িয়ে ধরেতে কি পারবো কোনদিন কোন মেয়েকে?”-আহসানের মনে সেই একই ব্যথা।
“পারবি তো, আজই পারবি, আমি এই দ্বীপের মেয়ে, আমাকে আজ তুই পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবি, ঠিক আছে?”-সাবিহার কথা শুনে আহসানের মুখ খুশিতে ভরে উঠলো।
“উফঃ আম্মু, আমার খুব ভালো লাগবে তোমাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে ঘুমাতে…”-আহসান ওর ঠোঁট এগিয়ে নিয়ে ওর আম্মুর ঠোঁটে একটা চুমু খেলো।
“আম্মু, কাল, তুমি আর আমি ঝর্ণার ধারে যাবো তো? আমার অনেক প্রশ্ন জমা হয়ে আছে, অনেক কিছু আরো জানতে হবে তোমার কাছ থেকে…”
“যেতে পারি, কিন্তু যেহেতু তোর আব্বু কাল ও হয়তো ফিরে আসবে না, তাই আমরা এখানে বসেই কথা বলতে পারি…”
“এখানে বসে বলতে পারি, কিন্তু ওখানে বসে বললে আমি বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করবো…”
“হুম, ঠিক আছে, কিন্তু তোর সব প্রশ্ন কি ওই পাখি আর মৌমাছি নিয়েই?”-সাবিহা দুষ্ট দুষ্ট কণ্ঠে জানতে চাইলো।
“হুম…ওই পাখি আর মৌমাছি নিয়েই…”
“আচ্ছা, কাল কথা বলবো, এখন ঘুমিয়ে যা…”
“তুমি উল্টোদিকে ফিরে শোও, আমি তোমাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরি…”
“ঠিক আছে, কিন্তু আমার হাতে ব্যাথা দিস না যেন…”-সাবিহা ছেলেকে সতর্ক করে দিয়ে অন্যদিকে ফিরে গেলো। আহসান খুব সাবধানে ওর মাকে জড়িয়ে ধরলো, কিন্তু সাবিহার পাছার সাথে আহসানের সামনের দিকের তলপেট লাগতেই বুঝতে পারলো যে, আহসান ওর গায়ের সাথে মিলতে পারছে না ওর শক্ত হয়ে যাওয়া লিঙ্গটির জন্যে। ওটা সোজা যেন সাবিহার পাছার খাজে ঠেলে ঢুকে আটকে গেলো, সাবিহার মুখে দিয়ে “ওহঃ” বলে একটা শব্দ বের হয়ে গেলো।
“আহসান, কি করছিস, তোর ওটার অবস্থা এমন কেন, সোনা?”-সাবিহা নরম গলায় জানতে চাইলো।
“কি করবো আম্মু, এমনিতে আজ দুদিন, তোমার অসুখের কারনে আমি বীর্যপাত করতে পারি নি, আর একটু আগে তোমার সাথে কথা বলতে বলতে আমি উত্তেজিত হয়ে গেছি…”-আহসান অপরাধীর মত নিচু স্বরে নিজের পক্ষে সাফাই গাইলো।
“তাহলে তুই মাষ্টারবেট করে, বীর্যপাত করে নে, এর পরে ঘুমা…”-সাবিহা ওকে প্রস্তাব দিলো, সাথে সাথে নিজের পাছাটাকে একটু পিছন দিকে ঠেলে দিলো যেন আহসানের লিঙ্গের সাথে আরও বেশি ঘষা খায়।
“না, আম্মু, আমি ঠিক করেছি যে এখন থেকে, আমার প্রতিটা বীর্যপাত এর সময় তুমি সামনে থাকবে আর তুমি ও তখন চরম সুখ নিবে। তোমাকে না দিয়ে, আমি নিজে কিছু নিতে ভালো লাগবে না আমার…”-আহসান ওর একটা হাত ওর আম্মুর পাছার উপরে রাখলো।
“কেন রে সোনা?”-সাবিহা জানতে চাইলো, কিন্তু আহসানের হাত ওর পাছার উপর থেকে সরিয়ে দিলো না।
“এখন তো তুমি আর আমি দুজনেই যৌনতার ক্ষুধার্ত, তাই তোমার আর আমার ক্ষুধা এক সাথেই পূর্ণ হবে, না হলে নয়…”-আহসান দৃঢ় কণ্ঠে বললো।
“কিন্তু, তুই এখন কিভাবে ঘুমাবি?”-ছেলের প্রতি দরদ উথলে উঠলো সাবিহার।
“হুম, সেটাই, এটাকে কোন নরম জায়গার মধ্যে যদি ঢুকিয়ে দেয়া যেতো, তাহলে ভালো হতো।”-আহসান চালাকি করে বললো।
“নরম জায়গা তো আছে আমার কাছে সোনা, কিন্তু সেখানে যে তোমার বাবার অধিকার, তোমার যে অধকার নেই সেখানে…”-সাবিহা কেন এই ধরনের কথা বলে ছেলেক উত্তেজিত করতে চাইছে সে নিজে ও জানে না।
“তোমার শরীরে তো আম্মু তোমারই অধিকার থাকার কথা, তাই না?”-আহসান যুক্তি দিলো।
“হুম, সে তো আছেই, সেই জন্যেই তো তোকে আমি আমার সারা শরীর দেখিয়েছি, তাই না?”-সাবিহা ছেলেকে বললো।
“হ্যাঁ, তা তো দিয়েছো, আম্মু, সেই জন্যে তোমাকে ধন্যবাদ…আচ্ছা, আমি লিঙ্গটাকে শুধু তোমার পাছার সাথে চেপে ধরে ঘুমালে তুমি রাগ করবে?”-আহসান জানতে চাইলো।
“না, সোনা, তুই নড়িস না, আমি ওটাকে ঠিকভাবে বসিয়ে দিচ্ছি, এর পরে তুই আমার কোমরের উপর দিয়ে একটা হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে ঘুমা…ঠিক আছে?”-সাবিহা প্রস্তাব দিলো।
“ঠিক আছে, আম্মু…”-আহসান খুব চমকিত হলো ওর আম্মুর মুখে এই কথা শুনে। সাবিহা ওর একটা পা কে উপরের দিকে উঠিয়ে নিজের ভালো হাতটাকে নিজের দু পায়ের মাঝে চালান করে আহসানের লিঙ্গের মাথাটাকে হাতের দু আঙ্গুলে আলতো করে ধরে ওদের শরীরের নিচের দিকে মুখ করিয়ে নিজে আরেকটু পিছিয়ে গেলো, আর লিঙ্গটাকে ওর পড়নের জাঙ্গিয়ার উপর দিয়ে নিজের পাছার দুই দাবনার খাঁজে বসিয়ে দিলো, ফলে আহসানের বুক আর সাবিহার পিঠ এক সাথে লেগে গেল।
আহসান একটু কেঁপে উঠেছিলো ওর আম্মুর আঙ্গুলের ছোঁয়া নিজের লিঙ্গের উপর পেয়ে। কিন্তু সাবিহা সেই কাজে সর্বোচ্চ ৫ সেকেন্ড সময় লাগালো। কিছুটা যান্ত্রিকতার সাথে কাজটা করলো সাবিহা। মায়ের কোমরের উপর দিয়ে বেড় দিয়ে ধরে পীঠে নাক লাগিয়ে ঘুমাতে চেষ্টা করলো আহসান। ওর হাত ছিলো সাবিহার পেটের উপরে।
বেশ কিছু সময় প্রায় আধাঘণ্টা পরে ছেলের দিক থেকে কোন সাড়া না পেয়ে সাবিহা খুব আস্তে করে অনুচ্চ গলায় ডাক দিলো, “আহসান”। কোন সাড়া না পেয়ে সাবিহা আবার ও ডাক দিলো, এইবার ও কোন সাড়া না পেয়ে সাবিহা বুঝতে পারলো যে, ছেলে ঘুমিয়ে গেছে, ওর গভীর নিঃশ্বাসের শব্দ ও পেলো সে।
সাবিহার ঘুম আসছে না, মন বড় উচাটন উচাটন করছে, ছেলের সাথে ওর শরীরের দূরত্বকে মেনে নেয়া যেন দিনের পর দিন আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে ওর জন্যে। ওর শরীর মন ছেলের কাছে আত্মসমর্পণের জন্যে সম্পূর্ণভাবে তৈরি। কিন্তু মনে ভিতরে লালিত সমাজের আর ধর্মের শিক্ষা আর বাকেরের চোখ ওকে এই কাজটি করতে দিচ্ছে না। কিন্তু ছেলের সাথে পরিপূর্ণ যৌন সঙ্গম করতে না পারলে ও ওদের মাঝের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে সে, গতকালের দুর্ঘটনার পর থেকে।
ছেলে ঘুমিয়ে গেছে বুঝতে পেরে, সাবিহা ধীরে ধীরে ওর পড়নের গেঞ্জিটাকে ওর দুধের উপরে তুলে দিলো। এর পরে পেটের উপর পড়ে থাকা ছেলের হাতটা ধরে নিজের দুধের উপর বসিয়ে দিলো সে। নিজের হাত দিয়ে ছেলের হাতের উপর চাপ দিয়ে খামচে ধরলো ওর দুধকে। মুখ দিয়ে সুখের একটা চাপা গোঙানি বের হয়ে গেলো সাবিহার।
ছেলের নগ্ন হাতকে নিজের নগ্ন দুধের উপর পেয়ে নিজের দুধ দুটিকে ছেলের হাতের উপর চাপ দিয়ে দিয়ে খামছে ধরে নিজের মনে প্রশান্তি অনুভব করতে লাগলো সে। এভাবে বেশ কিছুক্ষন ছেলের হাত দিয়ে নিজের দুধ দুটিকে খামছে টিপে, দুধের বোঁটাকে মুচড়ে দিয়ে এর পড়ে ঘুমের দেশে চললো সাবিহা।
0 Comments